মিল্টন সেন,হুগলি: পাঁচটি গাছ কাটার অনুমতি নিয়ে পঞ্চাশটা গাছ, বা বিস্তীর্ণ বাগান কেটে সাফ করে দেওয়া। প্রোমোটারদের দাপটে এভাবেই দীর্ঘ দিন ধরে একের পর এক বাগান ধ্বংস হয়েছে। চিহ্ন নেই দেবানন্দপুর, কাজিডাঙ্গা, দক্ষিণ নলডাঙ্গা, ভাঙা মসজিদ, কানগর, বেনাভাড়ুই, রাজহাট এলাকায় একাধিক বাগানের। নির্বিচারে সবুজ গাছ কেটে প্লটিং -এর কাজ চলছিল। খবর পেয়েই ছুটলেন বিধায়ক।
বন্ধ করে দিলেন গাছ কাটা। খবর দিলেন থানায়। সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনও অবস্থাতেই সবুজ গাছ কাটা যাবে না। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ব্যান্ডেল কাজিডাঙ্গা এলাকায়। রেলের উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল সেরে সরাসরি কাজিডাঙার ওই আমবাগানে পৌঁছন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার।
বিধায়ক জানিয়েছেন, এদিন সকালেই তিনি খবর পেয়েছেন, দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনবাগান এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাঁরাই অভিযোগ করেছেন, ওই এলাকায় একের পর এক সবুজ বাগান কেটে ফেলা হচ্ছে। খবর পেয়ে তিনি সেখানে পৌঁছে দেখেন বাস্তবেই তা হচ্ছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন প্লটিং করার লক্ষেই বাগানের গাছ কাটা হচ্ছিল। বন দপ্তর গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন বলেও জানতে পারেন তিনি। কিন্তু তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেন যে পরিমান গাছ কাটার অনুমতি নেওয়া হয়েছে, বাস্তবে তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণ গাছ কাটা ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। আরও গাছ কাটার চেষ্টা চলছে।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, রাত হলেই ওই বাগানে মদের আসর বসে। এলাকার কেউ কিছু বলতে গেলে তাদের আদালতের নোটিস পাঠানো হয়। বিধায়ক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এদিন, এসব চলবে না। যাতে আগামী দিনে আর একটিও গাছ নতুন করে না কাটতে পারে, পুলিশকে ডেকে সে বিষয়ে কথা বলেন।
স্থানীয় বিশাল গুপ্তা বলেছেন, ব্যান্ডেল কাজিডাঙ্গা বামনবাগান খুব শান্তিপ্রিয় জায়গা। সকলেই সেখানে মিলেমিশে থাকেন। এলাকায় একটি আমবাগান রয়েছে। সেখানে প্লটিংয়ের জন্য গাছ কাটা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন বনদপ্তর থেকে গাছ কাটার অনুমতি নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ গাছ কাটবে বলে অনুমতি নিয়েছে তার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক গাছ ইতিমধ্যেই কেটে ফেলা হয়েছে। আরও গাছ কাটা হচ্ছে। এলাকায় বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা বাড়ছে। অচেনা অনেকেই রাতে সেখানে এসে মদ্যপান করছেন বলে অভিযোগ। মহিলাদের নিরাপত্তা-সহ একাধিক বিষয় মাথায় রেখেই তাঁরা বিধায়ককে ঘটনা প্রসঙ্গে জানান। ছবি পার্থ রাহা।