আজকাল ওয়েবডেস্ক: “পবিত্র ত্রিবেণী কুম্ভ-র সাফল্য কামনা করছি এবং আগত সকল তীর্থযাত্রী ও ভক্তদের আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই পবিত্র মহাসঙ্গম সকলের জীবনে শান্তি, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বাতাবরণ আরো সমৃদ্ধশালী করবে- এই আশা রাখি।“ ত্রিবেণী কুম্ভ মেলার সাফল্য কামনা করে একথা লিখেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। একই সঙ্গে লিখেছেন,তিনি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে উপস্থিত থাকতে পারলে ভালো লাগত।তবে এই কুম্ভে অনেক ভিড় হয় তাই মানুষের কোনও অসুবিধে যাতে না হয়, সেকথা ভেবেই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। আয়োজকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে কুম্ভমেলার সার্থক সাফল্য কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্য পরিচালক কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কুম্ভ মেলার দ্বিতীয় বছরেই প্রধানমন্ত্রী কুম্ভ মেলার জন্য শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছিলেন মন কি বাতে। এবছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মেলার শুভেচ্ছা, সাফল্য বার্তা দিয়েছেন। আমরা অভিভূত। রাজ্যের মুখ্য অভিভাবক আমাদের এই বার্তা পাঠানোর জন্য। আশা করছি আগামী বছরে রাজ্য সরকারের তরফে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পাব।‘
তিনি আরও বলেন, ‘গত দু’ দিনের ৪ লক্ষ মানুষ এই কুম্ভ মেলায় উপস্থিত হয়েছেন। এবং এদিন কুম্ভ স্নান করেছেন প্রায় ৮০ হাজার পূণ্যার্থী। হুগলির ত্রিবেণীর রাস্তা খুব সরু, ঘাট গুলি সংস্কারের প্রয়োজন। সেই কারণেই দিল্লিতে মিনিস্ট্রি অফ কালচার-এর কাছে আমরা আবেদন জানিয়েছি। ত্রিবেণীর উন্নয়নের জন্য অর্থ প্রদান করা। সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারকেও জানানো হবে ত্রিবেণীর উন্নয়নের জন্য। এখানে স্থায়ী শৌচাগার নির্মাণে প্রয়োজন। এখানে বায়ো টয়লেট আনা হলেও সাধুরা ব্যবহার করতে চান না।‘
বাঁশবেড়িয়া চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী বলেন, ‘আমাদের স্বেচ্ছাসেবকেরা দিনরাত এক করে কাজ করে গিয়েছেন। কুম্ভ মেলায় এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। আজও কয়েক লক্ষ মানুষ এই কুম্ভ মেলায় সুষ্ঠুভাবে গঙ্গা স্নান করেছেন। কোনওরকম দুর্ঘটনা বা অপ্রীতিকার ঘটনা ঘটেনি। মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পাওয়ায় আমরা উৎসাহ বোধ করেছি। পরিচলন কমিটির যা বলেছিলেন তার দশ গুণ মানুষ এসেছেন এই কুম্ভ মেলায়।‘
হুগলি জেলাশাসক ও এই কুম্ভ মেলায় উপস্থিত হয়েছিলেন এবং যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছেন। মুক্তা আচার্য বলেন, পুলিশ প্রশাসন সিভিল ডিফেন্স ও পৌরসভার তরফে বিশেষ তৎপরতার সঙ্গে কুম্ভ মেলা চলছে।