• এক সময়ে পাপড়িকে বাঁচানো যায়নি, গলায় পেন আটকে যাওয়া ৭-এর শিশুকে বাঁচালো বর্ধমান মেডিক্যাল...
    ২৪ ঘন্টা | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • পার্থ চৌধুরী: খেলতে খেলতে পেনের বড় ঢাকনা গিলে ফেলেছিল শিশু। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের চিকিৎসকদের তৎপরতা এবং হাসপাতাল কতৃপক্ষের উদ্যোগে প্রাণ বাঁচল শিশুটির। আপাতত শিশুটি বিপন্মুক্ত। জানা গিয়েছে, ৭ বছরের ওই শিশুর বাম শ্বাসনালীতে চলে যাওয়া পেনের ঢাকা নতুন কৌশলে বার করে নজির সৃষ্টি করেছেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

    বর্ধমান হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আরামবাগ হাসপাতাল থেকে হুগলীর দেবখণ্ডের হাজিবুর এলাকার বাসিন্দা সেখ বাবুলাল হোসেনকে (৭) আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। খেলার ছলে পেনের একটি ঢাকা তার ফুসফুসের বাঁ দিকে গিয়ে আটকে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় শিশুর বাঁ ফুসফুস ক্রমশই অকেজো হয়ে পড়ছিল। এই অবস্থায় তাঁরা প্রথম ব্রঙ্কোস্কোপি করেন।

    কিন্তু পেনের ঢাকাটি আকারে বড় হওয়ায় এটি বেরিয়ে আসেনি। এরপর তাঁরা ট্র্যাকিওস্টোমি করেন এবং ট্র্যাকিওস্টোমির মাধ্যমে অনুনাসিক এন্ডোস্কোপ এবং এফ.বি. অপসারণ পদ্ধতিতে ঢাকাটি বার করে আনতে সক্ষম হন। বর্তমানে শিশুটি বিপদমুক্ত এবং সুস্থ রয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের সুপার ডা: তাপস ঘোষ জানান, শিশুটির জীবন সংশয় হতে পারত। ফুসফুসের ওপেন করে অপারেশন না করে গলায় একটি ছোট ছিদ্র করে বিকল্প পদ্ধতিতে অপারেশন করেন চিকিৎসকরা।

    তিনজন শল্যচিকিৎসক এবং দুজন অজ্ঞান করার চিকিৎসক তাদের টিম নিয়ে এই কাজটি করেন। তাপসবাবু জানান, এ ঘটনা সরকারি হাসপাতালে প্রথম। এই অভিজ্ঞতার কথা আরও ছড়িয়ে কিছু জীবন বাঁচানো সম্ভব বলে তাদের ধারণা। শিশুটির মা আয়েষা বেগম জানান, ছেলে অপারেশনের পর পাঁচদিন আইসিইউ-তে ছিল। এখন সে ভাল আছে। দারুণ ভাবে চিকিৎসা করে ছেলের প্রাণ বাঁচিয়েছেন ওঁরা। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)