সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: দাম অন্য গোলাপের থেকে তুলনামূলকভাবে খানিকটা বেশি হলেও বছরের বিশেষ দিনে প্রিয়জনকে ডাচ গোলাপ দিতে পকেটের দিকে তাকাচ্ছেন না কোচবিহারের বেশিরভাগ তরুণ-তরুণী। এ বছর কোচবিহারে গোলাপ কেনার এমন চাহিদা শুরু হয়েছে রোজ ডে থেকেই।
ফলে আগে থেকেই এবার ভালো বিক্রির আশায় ফুল ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছিল। ব্যবসায়ীদের কথায়, এবার রোজ ডে’তেই ডাচ গোলাপের যা চাহিদা ছিল, তাতে ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে বিক্রি বাড়বেই। স্টক শেষ হয়ে যেতে পারে, এই ভেবে অনেকে আগে থেকেই বেঙ্গালুরুর ডাচ গোলাপ কিনে রেখে দিয়েছেন। তবে অন্যবার থেকে এবার লালের পাশাপাশি হলুদ ডাচ গোলাপের চাহিদাও যথেষ্টই বেড়েছে বলে ফুল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
কোচবিহার শহরের কয়েকজন ফুল ব্যবসায়ী জানান, শুরুতে প্রতি পিস ডাচ গোলাপ গড়ে ৩০-৩৫ টাকা করে বিক্রি হলেও এখন একএকটি ডাচ গোলাপ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই তুলনায় অবশ্য লাল মিনি কুইনের দাম কম। ২০-৩০ টাকা তার দাম। কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন ফুল বাজারের ব্যবসায়ী অরূপ রায় কর্মকারের বলেন, বেঙ্গালুরুর লাল ও হলুদ দুই রঙের গোলাপেরই দারুণ চাহিদা রয়েছে। গতবারের থেকে এবার ভালো বিক্রি হচ্ছে।
ডাচ গোলাপের এমন চাহিদায় উৎসাহ বেড়েছে কোচবিহার জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের কর্তাদের। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারির ৭-১৪, ‘ভালবাসা সপ্তাহ’-এ কয়েক বছর ধরেই ভিনরাজ্যের ডাচ গোলাপ বাজিমাত করছে। কোচবিহারের আবহাওয়ায় ওই জাতের গোলাপের পরীক্ষামূলক চাষের জন্য অনুমোদন চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
ওই দপ্তরের কোচবিহারের জেলা আধিকারিক সত্যপ্রকাশ সিং বলেন, কোচবিহারের আবহাওযায় ডাচ গোলাপ চাষের জন্য অনুকূল নয়। তবে গ্রিন হাউসে আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে যাতে ডাচ গোলাপের পরীক্ষামূলক চাষ করা যায় সেবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে। স্থানীয়ভাবে ডাচ গোলাপ উৎপাদন করা গেলে দামও অনেকটাই কমবে। সেইসঙ্গে ফুল চাষিরা উপকৃত হবেন।