ভাঙন রোধে বরাদ্দ রাজ্য সরকারের, আশার আলো দেখছেন ভাঙন পীড়িতরা
বর্তমান | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, মালদহ: নদী ভাঙনে জেরবার মালদহের ভাঙন পীড়িত এলাকার বাসিন্দারা নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন রাজ্য বাজেটের পরে। বুধবার পেশ হওয়া রাজ্য বাজেটে ‘নদী বন্ধন’ নামে এক নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য নদী ভাঙন সমস্যার সুরাহা করা। ওই প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। মালদহের ভাঙন পীড়িত বিস্তীর্ণ অংশের বাসিন্দারা তাই ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে স্বভাবসিদ্ধ ভাবেই প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, নদী ভাঙন মালদহের অন্যতম বড় সমস্যা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহে এসে একাধিকবার ভাঙন নিয়ে তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভাঙন রোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন ও আর্থিক বরাদ্দের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। কিন্তু তাতে কেন্দ্রের তেমন হেলদোল দেখা না যাওয়ায় এবার নিজেদের উদ্যোগেই ভাঙন রোধের পথে হাঁটার বার্তা দিয়েছে রাজ্য সরকার। এতে খুশি মানিকচক, ভূতনি, রতুয়া, বীরনগর, পারলালপুর সহ একাধিক ভাঙন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা। গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ অ্যাকশন নাগরিক কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের বক্তব্য, রাজ্য সরকার অন্তত বিষয়টিকে মান্যতা দিয়েছে। এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমরা চাই নদী বন্ধন প্রকল্পের এই বরাদ্দ ব্যয় করা হোক ভাঙন পীড়িত মানুষদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের জন্য।
বীরনগর ম্যানেজড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হক বলেন, ভাঙন রোধের ক্ষেত্রে এই বরাদ্দ একটি সদর্থক পদক্ষেপ। বরাদ্দ আরও বেশি হলে ভালো হতো। তবে বিষয়টি অবশ্যই ইতিবাচক। সেচ ও জলপথ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, হাজার হাজার মানুষ প্রতি বছর নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছে। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী ওই ভাঙন পীড়িত মানুষদের পাশে থাকার জন্য ওই বরাদ্দ করেছেন। তাঁকে জেলাবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। অন্যদিকে, মালদহ দক্ষিণ জেলা বিজেপি সভাপতি পার্থসারথি ঘোষের বক্তব্য, কেন্দ্রের কাছে ভাঙন রোধের কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাই জমা দিতে পারেনি রাজ্য। যে অর্থ নদী বন্ধন প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে তা যৎসামান্য। এই অর্থ আসলে এক শ্রেণীর ঠিকাদারকে সাহায্য করতেই বরাদ্দ করা হয়েছে।