নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: সালিশি চলাকালীন দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ‘অপহরণের’ অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিস। বৃহস্পতিবার সকালে জলপাইগুড়ির পাতকাটা যুগীপাড়া থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানার পুলিস। ছাত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই কিশোরীকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর তারা খবর পায়, যুগীপাড়ার এক যুবক তাদের মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়েছে। মেয়েটি তার বাড়িতেই রয়েছে। এ খবর জানার পর পঞ্চায়েত, পাড়ার লোকজন নিয়ে ছেলের বাড়িতে সালিশির জন্য যায় মেয়ের পরিবার। সালিশি বসে। কিন্তু সেই সালিশি চলাকালীনই তাঁর মেয়েকে নিয়ে ওই যুবক বেপাত্তা হয়ে যায় বলে অভিযোগ ছাত্রীর বাবার। তাঁর দাবি, ওই যুবক মেয়েকে ‘অপহরণ’ করেছে। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রীর পরিবারের তরফে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিন যুগীপাড়া এলাকা থেকেই ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তার সঙ্গেই ছিল নাবালিকা। তাকেও উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, ছেলেটিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার আদালতে তোলা হবে। ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে উদ্ধার হওয়া নাবালিকার। এদিকে, বুধবার রাতে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল চত্বর থেকে এক নাবালক ও এক নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিস। অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়ের সূত্রে হলদিবাড়ির এক কিশোরের ‘প্রেমের’ টানে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা এক কিশোরী বাড়ি ছেড়ে জলপাইগুড়িতে চলে আসে। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় কোথাও যাওয়ার বাস না পেয়ে তারা হাসপাতাল চত্বরে ঘাপটি মেরে বসেছিল। তাদের দেখে সন্দেহ হয় টহলরত পুলিসকর্মীদের। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তারা জানতে পারে, ওই কিশোরের সঙ্গে মেয়েটি বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে। এরপর দু’জনকেই উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিস। এদিন বিকেলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা চত্বরে দাঁড়িয়ে ওই কিশোরের দাদা বলেন, আমি গাড়ি চালাই। ভাই আমার সঙ্গে গাড়িতে খালাসির কাজ করে। ও যে এমন ঘটনা ঘটাবে বুঝতে পারিনি।