• এমজেএন মেডিক্যালের হস্টেলে ইন্টার্নের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, রহস্য
    বর্তমান | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: এমজেএন মেডিক্যালের হস্টেলে এক ইন্টার্নের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। ওই ছাত্রের নাম কিষানকুমার(২৮)। বিহারের বাসিন্দা ওই যুবক মেডিক্যাল কলেজের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। কয়েকমাস পরেই তাঁর পূর্ণ চিকিৎসক হওয়ার কথা ছিল। মৃত ছাত্রের পরিবারের তরফে কোচবিহার কোতয়ালি থানায় বৃহস্পতিবার রাতেই খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই ছাত্রের আত্মীয় দীনেশ দাস বলেন, কলেজ প্রশাসন ও অজ্ঞাত ব্যক্তি দ্বারা কিষানকে খুন করা হয়েছে। আমরা পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছি। মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে প্রিন্সিপাল ডাঃ নির্মলকুমার মণ্ডল ও পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে ফোন ও মেসেজ করা হলেও উত্তর মেলেনি। যদিও এদিন সকালে ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরকোচবিহারের পুলিস সুপার দাবি করেছিলেন, ওই ইন্টার্নের সঙ্গে এক যুবতীর প্রেম ছিল। এনিয়ে প্রায়শই তিনি খুব উদ্বিগ্ন থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা থেকেনিজের ঘরেই ছিলেন ওই ছাত্র। রাতে খেতে যাওয়ার জন্য বন্ধুরা ডাকতে গেলে ঘটনাটি নজরে আসে। খবর পেয়ে হস্টেলে আসেন মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ নির্মলকুমার মণ্ডল, এমএসভিপি ডাঃ সৌরদীপ রায়। কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিসওপৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। রাতেই মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। গোটা ঘটনাটি বুধবার রাত ১২টার পরে ঘটেছে বলে অনুমান পুলিসের। 


    খবর পেয়েই মেডিক্যালে চলে আসে মৃত ছাত্রের পরিবার। মৃত ইন্টার্নের বাবা জীবেশ দাস বলেন, বুঝতে পারছি না ছেলের এমনকী হল যে,আচমকা এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিল। আমার মনেহয় ওর উপর মানসিক নির্যাতন হয়েছে। নাহলে আত্মহত্যা করার ছেলে তো ও নয়! পড়াশোনায় ছোট থেকেই ভালো ছিল। বুধবার রাতেও ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। ওর মায়ের প্রয়াগরাজে যাওয়ার কথা ছিল। সেই বিষয়েও কথা বলেছিল ছেলে। আমরা চাই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।


    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কিষান কুমারের বাড়ি বিহারের নিউ বারাউনিতে। চার বছরধরেএমজেএনে ডাক্তারি পড়ছিলেন। মেডিক্যাল কলেজের ফাঁকা পড়ে থাকা নার্সিং হস্টেলের চতুর্থ তলায় ৩০৪ নম্বর রুমে একাই থাকতেন। সেখানে দু’টি ফ্ল্যাট ছিল। একটিতে কিষান থাকতেন। সেখানেই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।তাঁর ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজায় একটি ফুটোছিল। সেটির ভিতর দিয়ে আলো ফেলেই বিষয়টি নজরে আসে। 


    প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, ওই যুবকের সঙ্গে এক যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।তাঁর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। দেহ উদ্ধারের পর ৩০৪ নম্বর রুমটি সিল করে দেয় পুলিস। ময়নাতদন্তের পুরো প্রক্রিয়াটির ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)