চাঁচল সুপার স্পেশালিটিতে দ্রুত শুরু হবে ডায়ালিসিস, বাড়ানো হবে সিসিইউ শয্যা
বর্তমান | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ ও সংবাদদাতা চাঁচল: ঢেলে সাজানো হচ্ছে মালদহের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। বাড়ানো হচ্ছে সিসিইউ শয্যা সংখ্যা। এছাড়াও কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নার্সিং হোস্টেল, চিকিৎসকদের আবাসন তৈরির পরিকল্পনা জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের।
বৃহস্পতিবার এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া। ঘুরে দেখেন বেশকিছু ইউনিট। রোগীর আত্মীয়দের মুখ থেকে শোনেন সমস্যার কথা। বৃহস্পতিবার জেলাশাসক বলেন, চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিট চালু করা হবে। বাড়ানো হচ্ছে সিসিইউ শয্যা সংখ্যা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল হাসপাতালে সিসিইউ চালু হয়েছে। তবে সেখানে এতদিন চার শয্যা বিশিষ্ট সিসিইউ ছিল। বৃহস্পতিবার পরিদর্শনের পর আরও ৮টি শয্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। মার্চের মধ্যেই সিসিইউ এর বাড়তি শয্যা চালু করা হবে। সুপার স্পেশালিটি হওয়া সত্ত্বেও এতদিন এখানে কোনও ডায়ালিসিস ইউনিট ছিল না। খুব শীঘ্রই সেই পরিষেবা চালু করা হবে বলে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। চাঁচল হাসপাতালে কয়েক বছর আগে এসএনসিইউ বিভাগ চালু করা হয়। সেখানে আপাতত ১৬টি শয্যা রয়েছে। তবে এখন থেকে এসএনসিইউ বিভাগে ৮টি শয্যা বিশিষ্ট ‘স্টেপ ডাউন’ ইউনিট চালু করা হবে। যা এসএনসিইউ এর একটি অংশ হিসেবেই থাকবে। অর্থাৎ ১৬ টি শয্যা থেকে ৮ টি শয্যা আলাদা করে ওই ইউনিটে রাখা হবে। এসএনসিইউ এর মধ্যে যে সমস্ত বাচ্চারা তুলনামূলক কম সিরিয়াস, তাদেরই এখানে রাখা হবে বলে এদিন জেলাশাসক জানান। মালদহ জেলার একাংশের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কিছু কিছু এলাকা থেকেও রোগীরা চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসেন। যার ফলে অনেক রোগীর আত্মীয়কেই এখানে রাত কাটাতে হয়। তবে হাসপাতাল চত্বরে বিশ্রামাগার না থাকায় প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন রোগীর পরিজনরা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি সংক্রান্ত কিছু জটিলতার কারণেই এতদিন তা চালু করা যায়নি। দ্রুত বিশ্রামাগার চালু হবে।
জেলাশাসক বলেন, মার্চের মধ্যেই পুরুষ ও মহিলাদের বিশ্রামাগার চালু করার নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়াও হাসপাতাল চত্বরে নতুন বিল্ডিং তৈরি করা হবে। সেখানে হাসপাতালের কোন কোন বিভাগ থাকবে তা নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নার্সিং হোস্টেল এবং চিকিৎসকদের আবাসনের জন্য প্রস্তাব তৈরি করতেও নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।