নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরও স্থায়ী চাকরি পাননি উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমে কর্মরত ২২ জন অস্থায়ী কর্মী। যার জেরে এবার নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১২ সালে লেবার ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের পরও মামলাকারীদের স্থায়ী চাকরি দেওয়া হয়নি। এরপর হাইকোর্টও চাকরি দিতে নির্দেশ দেয়। দেশের শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখলেও চাকরি পাননি ওই কর্মীরা। এমনকী মামলা বকেয়া থাকাকালীন বেশ কয়েকজন মামলাকারীর মৃত্যুও হয়েছে। এমন অভিযোগে বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, হাইকোর্টের নির্দেশের পরও চাকরি দেওয়া হয়নি। এখন বিভিন্ন নথি চেয়ে মামলাকারীদের হয়রান করা হচ্ছে। নিগমের তরফে জানানো হয়, ২২ জন চাকরি প্রাপকের মধ্যে ন’জন নথি জমা দিয়েছেন। বেশ কয়েকজনের বয়স পার হয়ে গিয়েছে। এই বক্তব্য শুনেই নিগমের আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনাদের আচরণ খুব খারাপ। এবার জেলে পাঠাব আপনাদের। এসব আসলে নির্দেশ এড়ানোর অজুহাত। এমডি নির্দেশ পালন করতে চাইছেন না, এটা স্পষ্ট।’ এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেন, নির্দেশ কার্যকর করতে হবে না, হলে ৬ মার্চ এমডিকে সশরীরে আদালতে হাজির থাকতে হবে। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই যে সমস্ত মামলাকারীর মৃত্যু হয়েছে তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।