• বারাকপুরে উৎসধারা প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল ও পূর্তসচিব
    বর্তমান | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: পুজোর আগেই উদ্বোধন হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের উৎসধারা প্রকল্পের। বৃহস্পতিবার এই প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখলেন পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এবং পূর্তসচিব অন্তরা আচার্য। দপ্তরগুলির অফিসার, ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে গান্ধীঘাটের সামনে উৎসধারা প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখলেন তাঁরা।


    বেলা দেড়টা নাগাদ উৎসধারা প্রকল্প দেখতে আসেন পূর্তসচিব অন্তরা আচার্য। প্রথমে ঢুকেই যে তোরণ তৈরি করা হয়েছে, সেখানে টেরাকোটার কাজ দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। যে টিকিট কাউন্টার তৈরি করা হয়েছে, তাও পরিবর্তন করতে পরামর্শ দেন। ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টারে কী ধরনের ভাস্কর্য থাকবে, ৭০ ফুট উঁচু ক্লক টাওয়ারে কী রং হবে, তাও জানতে চান। কোথায় কোথায় গাছ বসানো হবে, কী ধরনের গাছ বসানো হবে, বনদপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে তা বুঝে নেন।


    এরপরে আসেন পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনি পরামর্শ দেন, স্বাধীনতার আন্দোলনে সিপাহী বিদ্রোহ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত বারাকপুরের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। এজন্য মঙ্গল পান্ডে, গান্ধীজি, নেতাজি সুভাষ বসুর কী ধরনের মূর্তি বসানো হবে, তা তিনি পছন্দ করে দেন। 


    বছর কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গান্ধীঘাট থেকে মঙ্গল পান্ডে ঘাট পর্যন্ত গঙ্গার ধারে বিস্তীর্ণ এলাকাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার কথা বলেছিলেন। সেই অনুসারে পর্যটন দপ্তর উৎসধারা নামে একটি প্রকল্প শুরু করেছে। সেই প্রকল্পের কাজ করছে পূর্তদপ্তর। ২৬ জানুয়ারি গান্ধীঘাটে এসে মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এরপর এদিন পূর্তসচিব সেই কাজের পর্যালোচনা করেন। বৈঠকের পরে পূর্তসচিব বলেন, ৭৫ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। কোনও গাছ কাটা হয়নি। সমস্ত গাছকে অক্ষত রেখেই ঐতিহাসিক শহর বারাকপুরের স্বাধীনতার ইতিহাসকে তুলে ধরা হচ্ছে। যেহেতু কাজটা একটু অন্যরকম, তাই একটু সময় লাগবে। রাস্তা বা ব্রিজ তৈরির কাজ নয় এটা। একটি ঐতিহাসিক ভাবনার সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মেল ঘটবে।
  • Link to this news (বর্তমান)