• ‘অপরাজিতা’ বিল অনুমোদনে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ তৃণমূল
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ‘অপরাজিতা বিল’–এ দ্রুত অনুমোদনের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হয়েছে এই বিল। অপরাজিতা বিলকে আইন হিসেবে কার্যকর করতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণেই এদিন দলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে বিলের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। এই সংক্রান্ত একটি তিন পাতার চিঠি রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিয়ে দ্রুত বিলটি অনুমোদনের দাবি জানিয়েছেন সুদীপ ও ডেরেক।

    গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজ্য বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়েছিল ‘অপরাজিতা বিল’। এর পোশাকি নাম, ‘অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’। আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ–খুনের ঘটনার আবহে এই বিল বিধানসভায় পাশ করা হয়। রাজ্যের দাবি— দ্রুত তদন্ত, দ্রুত ন্যায়বিচার ও কঠোরতম শাস্তি— এই তিনের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে অপরাজিতা বিলের খসড়া। বিলটি আইনে পরিণত হলে নারী ও শিশুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা ও ধর্ষণ রুখতে তা কার্যকরী ভূমিকা নেবে। পাশাপাশি, অপরাধীর দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে। রাজ্যের শাসকদের নেতৃত্বের দাবি, বিলে ২১ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে ৩০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পকসো আইনের ক্ষেত্রে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংযোজন।

    গত ৩ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় অপরাজিতা বিল পাশ হওয়ার পর তা রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় বিলের টেকনিক্যাল রিপোর্ট হাতে পাননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পরে বিলের টেকনিক্যাল রিপোর্ট রাজভবনে পাঠায় রাজ্য। সেই রিপোর্ট দেখার পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সংবিধানের ২০০ নম্বর ধারার তৃতীয় বিকল্প অনুযায়ী নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে অপরাজিতা বিল রাষ্ট্রপতির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠিয়ে দেন। তার পর থেকে বিলটি রাষ্টপতির কাছে রয়েছে। এবার এই বিলটি দ্রুত অনুমোদনের দাবি জানিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর দ্বারস্থ হল তৃণমূল।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)