রাকিব ইকবাল, আমতা
কোটি টাকা ব্যয়ে আমতা দু’নম্বর ব্লকের বোরো ধান চাষে এ বার জল সংরক্ষণের জন্য তৈরি হচ্ছে স্লুইস গেট। দীর্ঘ দিনের জলের সমস্যা মিটতে চলেছে বলে খুশি আমতা দু’নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কৃষকরা। আমতার এই ব্লকে মজে যাওয়া দামোদর নদের পাশে কাশমলি অঞ্চলের বেগুনেঘাটাতে পাঁচ গেটের স্লুইস গেট নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যেই জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি বেগুনেঘাটা অঞ্চলে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে যান আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল ও সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা।
বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, ‘প্রতি বছর বোরো ধান চাষের সময় জলের অভাবে সমস্যায় পড়তেন এখানকার কয়েক হাজার কৃষক। এত দিন অস্হায়ী বাঁধ দিয়ে জল ধরে রেখে, সেই জল বোরো চাষে ব্যবহার করা হতো। সে ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হতেন কৃষকরা। তাঁদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সেচ দপ্তরের কাছে আবেদন করা হয়। এর পরেই ওয়েস্ট বেঙ্গল মেজর ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় কাশমলি অঞ্চলে বেগুনে ঘাটার কাছে স্লুইস গেট নির্মাণ করার কাজ শুরু হয়।’
জানা গিয়েছে, এই স্লুইস গেট নির্মাণের ফলে রূপনারায়ণ নদের জল মজে যাওয়া দামোদর থেকে খুব সহজেই ধরে রাখা যাবে এবং প্রয়োজনে সেই জল বোরো চাষেও ব্যবহার করা যাবে।
বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, এই স্লুইস গেট নির্মাণের ফলে আমতা দু’নম্বর ব্লকের ঝিকিরা, অমড়াগোড়ি, বিকে বাটী, থলিয়া, কাশমলি, জয়পুর, ঝামটিয়া অঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষিকাজে সুবিধে পাওয়া যাবে।