• মুর্শিদাবাদের সাঁকোপাড়া হল্ট স্টেশনে রেল অবরোধ, বিপর্যস্ত ট্রেন পরিষেবা 
    আজকাল | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ মুর্শিদাবাদের সাঁকোপাড়া হল্ট স্টেশনে হাওড়া–কাটিহার এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ সহ আরও কয়েকটি দাবি নিয়ে ফরাক্কা রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা রেল অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদ জেলায় মালদা ও হাওড়া ডিভিশনের ট্রেন চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ঘন্টাখানেকের রেল অবরোধ কর্মসূচির জেরে মালদা এবং জঙ্গিপুরগামী একাধিক প্যাসেঞ্জার ট্রেন সকাল থেকে বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। 

    প্রায় ঘন্টাখানেক অবরোধ চলার পর রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। অবরোধ ওঠার পর একে একে বিভিন্ন স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়া শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং রেল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে আগামী এক মাসের মধ্যে যদি সাঁকোপাড়া হল্ট স্টেশনে আপ এবং ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ না দেওয়া হয় তাহলে এপ্রিল মাসের পর থেকে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। 

    ফরাক্কা রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‌রেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মালদা ডিভিশনের মধ্যে সবথেকে বেশি টিকিট বিক্রি হয় মুর্শিদাবাদের সাঁকোপাড়া হল্ট স্টেশন থেকে। দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ার আগে এই স্টেশনে কাটিহার এক্সপ্রেসের স্টপেজ ছিল। নতুন করে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পর কোনও এক অজানা কারণে রেলের তরফ থেকে হঠাৎই সেই স্টপেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’‌ তিনি জানান, ‘‌২০১৮–১৯ অর্থবর্ষে কেবলমাত্র সাঁকোপাড়া হল্ট স্টেশন থেকে কাটিহার এক্সপ্রেসের ৩৪ লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা, সামসেরগঞ্জ, সুতি সহ আশপাশের বহু এলাকার মানুষ নিজেদের কাজে মালদা–হাওড়া –কাটিহার যাওয়ার জন্য এই ট্রেন ব্যবহার করেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা প্রচণ্ড অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন। একাধিকবার রেল কর্তৃপক্ষের নজরে বিষয়টি আনার পর তাঁরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দ্রুত এই ট্রেনের স্টপেজ সাঁকোপাড়া হল্ট স্টেশনে চালু করা হবে। রেল দপ্তর নিজেদের প্রতিশ্রুতি না রাখার কারণে স্থানীয় বাসিন্দা এবং আমরা সকলে মিলে রেল অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি।’‌ 

    এডিআরএম (মালদা) শিব কুমার প্রসাদ জানান, ‘‌বর্তমানে এই স্টেশনে কেবলমাত্র চারটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের স্টপ রয়েছে। অথচ বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের কলকাতা এবং কাটিহার যাওয়ার জন্য ওই ট্রেনের স্টপ সাঁকোপাড়া হল্ট স্টেশনে থাকা খুব জরুরি বলে আমার মনে হয়েছে। স্থানীয় লোকেরা তাদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা জানিয়েছেন। রেল দপ্তরও তাদের সমস্যার প্রতি সহানুভূতিশীল। গোটা বিষয়টি দ্রুত উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নজরে আনছি।’‌ 

     
  • Link to this news (আজকাল)