২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর গত চার বছর বিধানসভার অধিবেশনের কোনও পর্যায়ের কোনও আলোচনায় যোগ দেননি তৃণমূলের ১১৮ জন বিধায়ক। সম্প্রতি তৃণমূলের পরিষদীয় দলের হাতে এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে এই বিধায়কদের বিধানসভায় ‘সক্রিয়’ করতে উদ্যোগী হয়েছে দল। দুই জন অভিজ্ঞ নেতাকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ।
চলতি বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন তৃণমূলের পরিষদীয় দল বিধায়কদের কাজকর্ম নিয়ে পর্যালোচনা করেছিল। পর্যালোচনার পর একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। সেই তালিকায় রয়েছে মোট ১১৮ জন তৃণমূল বিধায়কের নাম। তাঁরা গত চার বছরে বিধানসভার কোনও পর্যায়ের কোনও আলোচনাতেই যোগদান করেননি। অর্থাৎ বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও বিধানসভায় নীরব থেকেছেন। কোনও প্রশ্নোত্তরপর্ব, কোনও প্রস্তাব বা বিল নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রেও তাঁরা যোগদান করেননি।
উল্লেখ্য, রাজ্যে তৃণমূল বিধায়কের মোট সংখ্যা ২২২ জন। তাঁদের মধ্যে ১১৮ জন নীরব থাকার অর্থ হল অর্ধেকের বেশি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি (বিধানসভায়) কোনও আলোচনাতেই যোগদান করেন না। তাই ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে বিধায়কদের সক্রিয় করার উদ্যোগ হাতে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এখনই এই ১১৮ জন বিধায়কদের কোনও শাস্তি দিতে নারাজ পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব। তাঁর দাবি, এখনই শাস্তি না দিয়ে অভিবেশন কক্ষে তাঁদের কীভাবে সক্রিয় করা যায় সেই বিষয়টি দেখতে হবে। আগামী সোম-মঙ্গলবার রাজ্যপালের বক্তৃতার ওপর আলোচনা হবে। বুধ-বৃহস্পতিবার বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে। এই চার দিনের আলোচনায় বক্তৃতা করতে ১১৮ জন বিধায়কের একাংশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।