• বড় স্ক্রিনে দেখানো হবে দুর্ঘটনার ছবি
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • বড় স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছে ‘বুক কেঁপে ওঠার’ মত দুর্ঘটনার ছবি। যে দুর্ঘটনাগুলি ঘটেছে মূলত বাইক চালক বা গাড়ির চালকদের ভুল ত্রুটির জন্যই। আর সেই ভুলের মাশুল হিসাবে মৃত্যু অবধি হয়েছে চালকদের। বড় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে সেই সমস্ত দুর্ঘটনার ছবি দেখছেন তথ্যপ্রযুক্তির কর্মীরা। বৃহস্পতিবার কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের পথ নিরাপত্তা কর্মসূচির অন্তর্গত এই ধরনের একটি কর্মসূচির আয়োজন করেছিল তিলজলা ট্রাফিক গার্ড। এই কর্মসূচিটির আয়োজন করা হয়েছিল রাজারহাটে অবস্থিত ইনফোসিসের নিউ বিল্ডিংয়ে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, একটি বড় হলের মধ্যে শত শত চেয়ার আর তার সামনে রয়েছে একটি বড় স্ক্রিন। এদিন এই কর্মসূচি শুরু হয় সাড়ে বারোটা নাগাদ। বড় স্ক্রিনে দেখানো শুরু হয় একের পর এক বড় বড় দুর্ঘটনা। যে দুর্ঘটনার চিত্রগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে, বিভিন্ন রাস্তার পাশে লাগানো কলকাতা পুলিশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে।

    যে দুর্ঘটনার চিত্রগুলি দেখে সত্যিই শিহরন জাগে। এই দুর্ঘটনাগুলি চালকের কোনো না কোনো ভুলের জন্যই ঘটেছে। কোনও দুর্ঘটনার চিত্রে দেখা হয়েছে, বাইক চালক সিগন্যাল না মানায় কত বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কোথাও বা হেলমেট না পড়ে বাইক চালালে দুর্ঘটনার পরে কিভাবে চালকের প্রাণহানি হয়েছে তাও দেখানো হয়। আসলে এই সমস্ত দেখিয়ে মানুষকে সচেতন করাই এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য বলে জানালেন তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের ওসি সুরজিৎ পাল। সুরজিৎ বাবুর কথায়, প্রচুর তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা বাইক এবং গাড়ি নিয়ে কাজে আসেন। তাই তাঁদের সচেতন করার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ অনেক সময় চালকের ভুলের জন্য বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটে এবং প্রাণ যায়। আর তাছাড়া চোখের সামনে কোন কিছু ঘটলে তা থেকে মানুষ বেশি ‘শিক্ষা’ নেয়।

    তাই এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন সুরজিৎ বাবু। এছাড়াও এদিনের এই অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের বিভিন্ন ট্রাফিক সিগন্যাল সম্পর্কেও ‘পাঠ’ দেওয়া হয়। যদিও লাইসেন্স দেওয়ার আগেই এই বিষয়ে প্রত্যেকটা চালকদেরই শেখানো হয়। তবুও যাতে চালকরা যথাযথভাবে সমস্ত ট্রাফিক সিগনাল ‘সতর্কতার’ সঙ্গে মেনে চলেন তাই আবারও এই সমস্ত ট্রাফিক সিগন্যাল সম্পর্কে চালকদের অবগত করা হচ্ছে বলে জানান ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ কর্মীরা। ট্রাফিক সিগনাল থেকে শুরু করে, গাড়ি বা বাইক চালানোর সময় চালকদের ঠিক কি করা উচিত, তা ‘পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে’র মাধ্যমে এই দিনের কর্মসূচিতে দেখানো হয়। ট্রাফিক পুলিশের তরফ থেকে যেমন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয় তেমনই, তথ্যপ্রযুক্তি প্রযুক্তি কর্মীরাও ট্রাফিক সিগন্যাল বা আইন সম্পর্কে পুলিশ কর্মীদের কাছে প্রশ্ন করেন। ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত পুলিশ কর্তারা তাঁদের প্রশ্নের জবাব দেন। এদিনের ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ সমীর কুমার পাঁজা, দেবাংশু দাশগুপ্ত এবং তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের ওসি সুরজিৎ পাল। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের কাছে এদিনের এই কর্মসূচি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হয়েছে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)