• দু’সপ্তাহেই জামতাড়া গ্যাংয়ের ৪৬ জন ধৃত
    আনন্দবাজার | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • জামতাড়া থেকে বাংলায় এসে কয়েক দিন থেকে সাইবার অপরাধের ঘাঁটি বানানো। এর পরে কাজ শেষ হয়ে গেলেই ফের জামতাড়ায় ফিরে যাওয়া। গত কয়েক মাসে রাজ্যের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল থেকে সাইবার প্রতারণার একাধিক অভিযোগের শিকড় খুঁজতে গিয়ে এমন তথ্য পেয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের সাইবার শাখার তদন্তকারীরা। অবশেষে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে গত ১৫ দিনে ৪৬ জনকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশ। ধৃতরা মূলত ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার বাসিন্দা বলে বৃহস্পতিবার ভবানী ভবন জানিয়েছে।

    ভবানী ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাসে মূলত বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সাইবার প্রতারণায় লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছিলেন বিভিন্ন বয়সের বাসিন্দারা। কখনও বাড়িতে বসে চাকরির প্রলোভন, আবার কখনও ডিজিটাল অ্যারেস্ট, কখনও কেনাকাটায় বিশেষ ছাড়-সহ বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা হাতাচ্ছিল প্রতারকেরা। একাধিক অভিযোগে ‘অপারেশন সাইবার শক্তি’ নাম দিয়ে তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশের সাইবার শাখা। নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিআইজি সাইবার অমিত কুমার রাঠোর। ভবানী ভবন জানিয়েছে, দিন পনেরো আগে বীরভূমের খয়রাশোল থেকে প্রথমে তিন জনকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় ৮৪টি মোবাইল, ১০০-রও বেশি ডেবিট কার্ড। এ দিন ভবানী ভবনে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার বলেন, “এই চক্রে আরও কয়েক জন জড়িত। তাদের খোঁজ চলছে। যাঁরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন তাঁদের টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”

    প্রাথমিক ভাবে গত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যের এই অঞ্চলে হওয়া সাইবার অপরাধের বড় অংশ এই জামতাড়া গ্যাংয়ের সদস্যেরা করছিল বলে ভবানী ভবনের তরফে দাবি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মূলত জামতাড়া থেকে অভিযুক্তেরা এসে এ রাজ্যের সদস্যদের নিয়ে কখনও গেস্ট হাউস বা হোটেল ভাড়া নিয়ে সেখানে বসে অপরাধ করত। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, আগামী কয়েক দিন সাইবার শক্তি অপারেশন চলবে।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)