বর্ধমানে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যদি আদলত জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে সভা করতে হবে। শব্দ যাতে কম হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে, সেই কারণ মোহন ভাগবতের সভায় মাইক ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি বর্ধমান জেলা পুলিশ। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করে আরএসএস।
শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। আদালত বলেছে যে জনসভা এমনভাবে পরিচালনা করা উচিত যাতে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা না হয় এবং শব্দ কম হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানে স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (SAI) মাঠে মোহন ভাগবত জনসভা করবেন। বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেছেন যে যেহেতু জনসভা রবিবার মাত্র ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের জন্য হবে। তাই আদালত মনে করে না যে এতে কারও অসুবিধা হবে। এটি সভা শান্তিপূর্ণভাবে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং শব্দ যতটা সম্ভব কম রাখতে হবে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কলকাতায় আসেন ভাগবত। ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আরএসএসের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের নেতৃত্ব ও প্রচারকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন তিনি। ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি সঙ্ঘের সর্বোচ্চ কমিটির (অখিল ভারতীয় টোলি) বৈঠক হয়েছে কলকাতায়। রবিবার ১৬ তারিখ সভা করার কথা। স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া গ্রাউন্ডে সভা করার কথা রয়েছে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের।
এর আগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা ও মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। শনিবার নিউ টাউনের একটি অতিথিশালায় এই বৈঠক হয়। আধ ঘণ্টা ধরে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। নিহত চিকিৎসকের বাবা 'বাংলা ডট আজতক ডট ইন'কে ফোনে বলেন, 'আমাদের কথা শোনার পর মোহন ভাগবত বলেন, আপানারা যাতে বিচার পান, সেজন্য আমি চেষ্টা করব। আমি কিছুটা জানি, তবে গভীরভাবে জানি না। জানার চেষ্টা করছি। আমি সবরকমভাবে চেষ্টা করব, যাতে আপনারা সুবিচার পান।' তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ এতদিন ধরে এই ঘটনায় সঠিক বিচার না পাওয়ার অভিযোগ তুলে একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছেন নিহত তরুণীর বাবা-মা। প্রথমে কলকাতা পুলিশ এবং পরে সিবিআই তদন্ত শুরু হলেও তাঁরা এর অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট নন। তাঁদের দাবি, এই তদন্ত যথাযথভাবে হয়নি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।