করোনার পর থেকে একাধিক ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই অভিযোগ তুলে রেললাইনে বসে পড়েন কয়েক’শো লোক। ফরাক্কার সাঁকোপাড়া হল্ট স্টেশনের ঘটনা। শুক্রবার সকাল থেকে অবরোধের জেরে আটকে পড়ে একের পর এক ট্রেন। কাজের সময় অবরোধের জেরে সমস্যার মুখে পড়েন হাজার হাজার নিত্যযাত্রী। অবরোধের জেরে আটকে পড়ে মালদহগামী মালবাহী ট্রেন এবং জঙ্গিপুর গামী একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। বেশ কয়েক দফা আলোচনা এবং রেলের আধিকারিকদের আশ্বাসের পর অবরোধ ওঠে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সাঁকোপাড়া হল্ট স্টেশনে আগে কাটিহার এক্সপ্রেস-সহ একাধিক ট্রেন দাঁড়াত। করোনা চলাকালীন স্টপেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাত্রীরা ভেবেছিলেন করোনা পরবর্তী সময়ে ফের স্টপেজ চালু করা হবে। কিন্তু তা হয়নি। এর ফলে প্রবল সমস্যার মুখে পড়েন ওই এলাকার বাসিন্দারা। ট্রেন ধরতে অনেকটা দূরে যেতে হচ্ছে তাঁদের। সমস্যার কথা জানিয়ে বাসিন্দারা মালদহের ডিআরএমকে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। শুক্রবার সকালে রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে অবরোধ শুরু করেন তাঁরা।
বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। রেল লাইনের ওপর বসে পড়েন তাঁরা। এর ফলে পর পর বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মালদহ ডিভিশনের এডিআরএম শিবকুমার প্রসাদ। অবশেষে এক মাসের মধ্যে কাঠিহার এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয় রেলের তরফে। তারপর অবরোধ উঠে যায়। যদি একমাসের মধ্যে যদি এই দাবি পূরণ না হয় সেক্ষেত্রে আগামীতে বড় আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে।