জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প দেউচা পাঁচামি কয়লা খনি। তিনি বলেছিলেন, এই খনি হলে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে—প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে। প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান তো শুরু হয়েই গিয়েছে। খনি এলাকায় পরোক্ষেই রোজগার করছেন অনেকেই।
কীভাবে? চাঁদা মৌজায় প্রথম পর্যায়ের খননস্থলে এখন বসেছে বেশ কিছু দোকানপাট। বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে তৈরি অস্থায়ী দোকানগুলোতে চা, বিস্কুট, চপ, মুড়ি, ঘুগনি, বেগুনি বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন দোকানদাররা। স্থানীয় দোকানদার ছোটন বাউরি জানালেন, 'শয়ে শয়ে মানুষ আসছেন, প্রচুর পুলিশ কর্মী রয়েছেন, তারা আমাদের দোকানে খাচ্ছেন। কখনও এত ভিড় হয় যে সামলানো মুশকিল হয়ে যায়। দোকান ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখতে হচ্ছে, আর দৈনিক আয় হচ্ছে চার-পাঁচ হাজার টাকা'।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাখনি হতে চলেছে দেউচা পাঁচামি। কয়লাখনি প্রকল্পের জন্য মোট প্রতি ৩৪০০ একর জমি নেওয়ার কথা জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। ২০২১ সালেই এই প্রকল্পের জন্য ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের প্যাকেজ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজ আটকে ছিল। সম্প্রতি বিশ্ববভঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মঞ্চ থেকে দেউচা পাঁচামিতে কাজ শুরু নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।