প্রসেনজিত্ মালাকার: নিশানায় কি সেই অনব্রত মণ্ডলই? 'অনেক বড় বড় নেতা এখন উঠেছে, তারা বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে', ফের বিস্ফোরক বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'তাদের বলব তোমাদের ব্যাকগ্রাউন্ড গুলো একটু তুলে ধর'।
এদিন বীরভূমের বাসাপাড়ায় প্রয়াত তৃণমূল নেতা সোনা চৌধুরীর স্মরণে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় নাম না করে কাজল বলেন, 'বলছে নানুরে এই করেছি ওই করেছি, তাদের বলব একটু খতিয়ান সাবমিট করতে। আবার কোন নেতা মন্ত্রী নতুন উঠেছে। তারা দলীয় কার্যালয় থেকে বসে বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে। তাদের বলব তোমাদের ব্যাকগ্রাউন্ড গুলো একটু তুলে ধর। দলটা কাজল শেখ ১৯৯৩ সাল থেকে করছে। অনেক মিথ্যা কেস আমাকে দেওয়াও হয়েছে'।
জেলার রাজনীতিতে কেষ্ট বিরোধী তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত কাজল। গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত তখন তিহাড় জেলে। তৃণমূলের সংগঠনে সামনে সারিতে চলে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু অনুব্রত ফিরতেই ছবি বদলে গিয়েছে। ফের অনুব্রত-কাজল দ্বন্দ্ব সামনে চলে এসেছে। বস্তুত,প্রকাশ্যে মঞ্চ থেকে নাম না করে একে অপরকে আক্রমণ করতে দেখা দিয়েছে তৃণমূলেরই দুই দাপুটে নেতাকে।
কাজল শেখ আরও বলেন, 'শহীদদের মনে রাখা উচিত। আমি তৃণমূলের সব স্তরের নেতাদের বলব শহীদদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। আমিও দাঁড়াই আপনারাও দাঁড়ান। এখন অনেক বড় বড় নেতা উঠেছে তারা শহীদদের কথা মনে রেখেছে কিনা আমার জানা নেই। তবে আমি শহীদদের বাড়ি বাড়ি যাই এবং তাদের পাশে থাকি'।