ভারত-বাংলাদেশ সংঘাত আবহেও চালু ‘মৈত্রী দুয়ার’, বাণিজ্যে গতি পেট্রাপোলে
প্রতিদিন | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছে বাংলাদেশের। হিন্দু নির্যাতন, হাসিনার প্রত্যর্পণ-সহ নানা ইস্যুতে উত্তপ্ত দুদেশের সম্পর্ক। এই পরিস্থিতিতেও ‘মৈত্রী দুয়ার’ চালুর পর বাণিজ্যে গতি পেট্রাপোলে। এতে আগের তুলনায় ট্রাক চলাচল দ্রুত ও মসৃণ হওয়াতে এই সাফল্য বলে জানাচ্ছেন অধিকারিকেরা।
বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি গেট থাকার কারণে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি এবং আমদানির ক্ষেত্রে নানা সমস্যা হচ্ছিল। পণ্য বোঝাই ট্রাক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও দ্রুত পণ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য গত অক্টোবর মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পেট্রাপোল সুসংহত চেকপোস্টে এসে মৈত্রী দুয়ারের উদ্বোধন করেছিলেন | চেকপোস্টের মধ্যে পণ্য রফতানি ও আমদানির ট্রাক চলাচলের জন্য চারটি চওড়া রাস্তা নিয়ে তৈরি হয় মৈত্রী দুয়ার। দুটি রাস্তা দিয়ে রফতানি ও দুটি রাস্তা দিয়ে আমদানি ট্রাক চলাচল করছে। আগে চেকপোস্টের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি ও আমদানির জন্য ট্রাক চলাচল করত। ফলে সময় তুলনায় বেশি লাগত। কোনও কারণে পথে ট্রাক খারাপ হয়ে গেলে মেরামত না হওয়া পর্যন্ত সব ট্রাকের চলাচল বন্ধ হয়ে যেত। দীর্ঘ লাইন পড়ত। যানজট হত। হঠাৎ কোনও ট্রাকের পণ্য পরীক্ষার প্রয়োজন হলেও ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকত। এখন সে সমস্যা মিটেছে।
ক্লিয়ারিং এজেন্ট সংগঠন সূত্রে খবর, বাংলাদেশের পরিস্থিতির কারণে মাঝে কিছুদিন রপ্তানি কমলেও এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক গড়ে ৪০০ ? ৪৫০ টি ট্রাক পণ্য রপ্তানি করছে। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কাত্তিক চক্রবর্তী বলেন, মৈত্রী দুয়ার চালু হওয়ার পর থেকে দুদেশের মধ্যে পণ্য রপ্তানি ও আমদানি ট্রাকেট চলাচল দ্রুত ও মসৃণ হয়েছে। আগে গড়ে ৩০০-৩৫০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি করত। এখন ৪০০- ৫০০ টি ট্রাক রপ্তানি করছে। পেট্রাপোল এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ দে বলেন, “মৈত্রী দুয়ার তৈরির আগে দুটো রাস্তা দিয়ে ট্রাক চলাচল করত। এখন চারটি রাস্তা হওয়ার কারণে সুবিধা হয়েছে। এখন ইন্ডিয়ার পার্কিং থেকে বাংলাদেশের পার্কিংয়ে সরাসরি গাড়ি যাচ্ছে। যানজট নেই । ট্রাক সময় পৌঁছাচ্ছে। এতে দুদেশের সুবিধা হচ্ছে। আমরা আশাবাদী আগামীতে আরও ব্যবসা বাড়বে।”