• রোগীর বাবাকে দিয়ে বমি পরিষ্কার! শান্তিপুর হাসপাতালের ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্যভবন তলব করল রিপোর্ট
    প্রতিদিন | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতালে সাফইকর্মী কম, রোগীর চাপ বেশি। দিনের ব্যস্ত সময় তাই রোগীদের আত্মীয়দেরই খানিকটা কাজ করতে হচ্ছে। এমনই অমানবিক দৃশ্য ঘিরে শুক্রবার দিনভর তোলপাড় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। পাঁচ বছরের অসুস্থ মেয়ের বমি পরিষ্কার করতে হল বাবাকেই। এভাবে কি আদৌ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজের দায় অস্বীকার করতে পারে? বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই ব্যাপক ক্ষোভপ্রকাশ করল স্বাস্থ্যভবন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, শুক্রবারের মধ্যেই রিপোর্ট দিতে হবে বলে নির্দেশ স্বাস্থ্যভবনের।

    ঘটনা ঠিক কী? কেনই বা শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ঘটনায় পরিকাঠামোগত দুর্বলতা নিয়ে এত আলোচনা, ক্ষোভ? জানা গিয়েছে, শুক্রবার শান্তিপুর হরিপুর মেলের মাঠ এলাকার বাসিন্দা সমীর শীলের পাঁচ বছরের শিশুকন্যা জ্বর ও বমির সমস্যায় ভুগছিল। মেয়েকে নিয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যান। জরুরি বিভাগে সেসময় কর্মরত ছিলেন চিকিৎসক তন্ময় সরকার। শিশুর শারীরিক পরীক্ষার সময় সে জরুরি বিভাগের দরজার কাছে বমি করে দেয়। অভিযোগ, শিশুকন্যার বাবাকে দিয়ে বমি পরিষ্কার করান জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ওই চিকিৎসক। সমীরবাবু প্রথমে প্রতিবাদ করলেও চিকিৎসক তাঁকে পরিষ্কার করতে কার্যত বাধ্য করেন। হাসপাতালে এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে চিকিৎসককে বলতে শোনা যাচ্ছে, ”বাসে-ট্রেনে মেয়ে গায়ে বমি করলে কি পরিষ্কার করতেন না?” যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।

    ঘটনার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়তেই তুমুল আলোচনা শুরু হয়। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত দুর্বলতা নিয়েও কথা হয়। এসব কানে যেতেই স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা। সঙ্গে সঙ্গে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার ও সিএমওএইচের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে স্বাস্থ্যভবন। বিষয়টি নিয়ে জয়েন্ট ডক্টর্স ফ্রন্টের তরফে ডাঃ উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেছেন, ”হাসপাতাল সুপার বলেছেন, সাফাইকর্মী নেই। দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হলেও স্বাস্থ্যদপ্তর নিয়োগ করছে না। আর দুর্ভোগে পড়ছে চিকিৎসক ও রোগীরা।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)