অরূপ বসাক, মালবাজার: ফের দ্রুত গতির গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু বাইসনের। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে চাপড়ামারি বনাঞ্চলের খুনিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায়। বাইসনটির সঙ্গে ওই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ছিটকে পড়ে প্রাণীটি। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তার। জখম হয়েছেন গাড়ির চালকও। এই ঘটনার পর জঙ্গল এলাকায় গাড়ির গতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বনকর্মীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে চাপড়ামারি বনাঞ্চল এলাকায় তিনটি বাইসন জাতীয় সড়ক পার করছিল। সেই সময় নাগরাকাটার দিক থেকে একটি মারুতি ভ্যান জাতীয় সড়ক ধরে চালসার অভিমুখে আসছিল। দুটি বাইসন রাস্তা পেরিয়ে জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে গেলেও তৃতীয় বাইসনটির সঙ্গে ওই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। রাস্তার উপরে ছিটকে পড়ে বাইসনটি ছটফট করতে থাকে। সেখানেই মারা যায় সে। বাইসনটি প্রাপ্তবয়স্ক এবং পুরুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বনকর্মী এবং নাগরাকাটা থানার পুলিশ। তাঁরা বাইসনটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। ঘাতক গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, আহত গাড়ির চালককে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
বনাঞ্চলে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানোর নিয়ম রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, গাড়ির চালক সেই নিয়ম মানেননি। গাড়িটি কম করে ৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলছিল। সামনে বাইসনটি চলে আসায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে। স্থানীয় এক পরিবেশপ্রেমী তানিয়া হক জানান, “জঙ্গলের রাস্তায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।” চালসার পরিবেশপ্রেমী মানবেন্দ্র দে সরকারের কথায়, “বনের পথে বন বিভাগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা বোর্ড রয়েছে। গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের কথা লেখা রয়েছে। তারপরেও গাড়ি চালকরা গতি নিয়ন্ত্রণ করেন না। ফলে এ জাতীয় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।” খুনিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার সজল কুমার দে জানিয়েছেন, “গাড়িটির গতি বেশি থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাইসনটির ময়নাতদন্ত হবে গরুমারাতে।”