• স্কুলে যাওয়ার নামে কোথায় গিয়েছিল চার ছাত্র? উদ্ধারের পরে জানা গেলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
    এই সময় | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • স্কুলে যাওয়ার নাম করে ঘর থেকে বেরিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল চার বন্ধু। ওই চারজনই নবম শ্রেণির পড়ুয়া। বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার দুই দিন পরে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের। তার পরেই জানা গিয়েছে, বেড়াতে যাওয়ার জন্যই কাউকে না বলে পালিয়েছিল ওই চারজন। তাদের উদ্ধার করার পরে পুলিশকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন অভিভাবকরা। সেই সঙ্গেই সন্তানদের মানুষ করার ক্ষেত্রে তাঁদের গাফিলতি আছে সেই কথাও স্বীকার করেন তাঁরা।

    পুলিশ জানিয়েছে, অন্য দিনেই মতোই বুধবারেও স্কুলে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে ছিল ওই চারজন। তারা সকলেই  হুগলির জাঙ্গিপাড়া থানার বড়হল হাইস্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়া। কিন্তু স্কুল থেকে আর বাড়ি ফিরে আসেনি তারা। এ নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় জাঙ্গিপাড়া থানায় চারজন পড়ুয়ার পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডাইরি করা হয়। শুক্রবার সকালে হুগলির হরিপালের একটি আবাসন থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

    কিন্তু কোথায় গিয়েছিল তারা? পুলিশ জানিয়েছে, ওই চারজনেই প্রথমে গিয়েছিল নবদ্বীপ। সেখান থেকে ফিরে আসে তারকেশ্বর। সেখান থেকে হরিপালের একটি আবাসনে আশ্রয় নেয় তারা।  কী কারণে তারা বাড়ি থেকে পালিয়েছিল তাও জানিয়েছে পুলিশ। চন্ডীতলার এসডিপিও তমাল সরকার জানিয়েছেন, ওই চার নাবালক বাড়ির বাইরে বের হতে চায়। তারা বেড়াতে যেতে চাইলেই বাড়ির লোকজন তাদের বাধা দেয়। এই কারণে কাউকে না জানিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল তারা।  মূলত ঘুরতে যাবার উদ্দেশ্যে তারা নবদ্বীপে গিয়েছিল বলেও জানান তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই চারজন হরিপাল এলাকায় আছে বলে জানতে পারার পরে শুক্রবার তাদের উদ্ধার করা হয়।

    ইদানীং নাবালক বা নাবালিকাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে । কেন এই প্রবণতা তাও জানিয়েছেন তমাল সরকার। তিনি বলেন, ‘এর জন্য সচেতনার অভাব যেমন আছে পাশপাশি সামাজিক মাধ্যমও কিছুটা দায়ী। আমরা পুলিশের তরফ থেকে স্কুলে স্কুলে স্বয়ংসিদ্ধা নামে ক্যাম্প করে  তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। তবে এটা সময়সাপেক্ষ।’

    অন্য দিকে সন্তানদের ফিরে পাওয়ার পরেও নিজেদের ভুল স্বীকার করছেন অভিভাবকরা। তাঁরা বলেন, ‘অভিভাবক হিসেবে আমরা সফল নই। সন্তানদের মানুষ করার ক্ষেত্রে আমাদের বড় ধরনের গাফিলতি রয়ে গিয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)