ঝড়-বৃষ্টি-কুয়াশার দাপট এবার অনায়াসে সামলাবে কলকাতা বিমানবন্দর! রহস্য কী?
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দমদম বা কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে যাঁদের প্রায়ই যাতায়াত করতে হয়, তাঁদের জন্য সুখবর। কারণ, এবার থেকে ঘন কুয়াশা, ভারী বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া কিংবা আবহাওয়া সংক্রান্ত অন্য যেকোনও প্রতিবন্ধকতার কারণে সৃষ্টি হওয়া উড়ানে সমস্যা অনেকটাই বাগে আনা সম্ভব হবে। আরও নিরাপদ হবে কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে আকাশপথে যাতায়াত। সৌজন্য এক নয়া ব্যবস্থাপনা। যার পোশাকি নাম - অটোমেটেড ওয়েদার অবসারভিং সিস্টেম বা এডাব্লিউওএস ।
এর ফলে যে বিমানচালকরা কলকাতা বিমানবন্দরে আসা-যাওয়া করবেন, তাঁদের কাছে 'রিয়েল টাইম'-এ আবহাওয়ার সম্পূর্ণ রিপোর্ট থাকবে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এই নয়া ব্যবস্থাপনা চালু হওয়ার ফলে কলকাতা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও উড়ান পরিষেবা আগের তুলনায় এখন আরও বেশি আঁটোসাঁটো ও উন্নত হবে।
তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, এই রিপোর্ট হাতে পেলে বিমানের ওঠা-নামা এবং উড়ান সম্পর্কিত যেকোনও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন পাইলটরা। যা সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
বিশেষ করে যে দিনগুলিতে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকে, যেমন - ঝড়, বৃষ্টি বা কুয়াশার দাপট থাকে, সেই দিনগুলিতে এই ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু বিমান পরিষেবা প্রদানের সহায়ক হবে।
এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আবহাওয়া সংক্রান্ত সবক'টি বিষয় - যেমন - তাপমাত্রা, বায়ুর গতিবেগ, আপেক্ষিক আর্দ্রতা, রানওয়ের দৃশ্যমানতা, আকাশে মেঘের অবস্থান ও উচ্চতা - সব বিষয়েই আলাদা আলাদা রিয়েল টাইম রিপোর্ট পেয়ে যাবেন বিমানচালকরা। যেটা পুরোনো ব্যবস্থাপনায় পাওয়া যেত না।
বুধবার কলকাতা বিমানবন্দরে এই ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করা হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, এই নয়া ব্যবস্থাপনায় তারাও উপকৃত হবে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি বুঝে তারাও আরও নিখুঁতভাবে পরিষেবা পরিচালনা করতে পারবে।
শুধু তাই নয়, যে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল -এর সঙ্গে সর্বক্ষণ সম্পর্ক রেখে বিমান চালান পাইলটরা, সেই এটিসি কর্মীরাও এই নয়া ব্যবস্থাপনার সাহায্যে বিমানগুলিকে আরও ভালো করে তাদের পথের দিশা দেখাতে পারবেন। একইভাবে বিমানকে উড়ান শুরু করার বা অবতরণের অনুমতি দেওয়াও আরও সহজ ও নিরাপদ হবে।
এই প্রসঙ্গে বিমানবন্দরের আবহাওয়া কার্যালয়ের ডিরেক্টর জি কে দাসকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে, 'কোনওভাবেই আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও তথ্য আর বিমানচালক বা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নজর এড়াবে না। এডাব্লিউওএস এটা নিশ্চিত করবে।' তিনি আরও জানান, এই ধরনের ব্যবস্থাপনা যেকোনও বিশ্বমানের বিমানবন্দরের পরিচায়ক ও প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য।