• শ্যামরূপা দেবীর মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ, তৈরি হবে তোরণ
    বর্তমান | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানকর: পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার গড়জঙ্গলে শিলামূর্তিতে অধিষ্ঠান করেন দেবী শ্যামরূপা। কয়েকশো বছর ধরে এখানে শ্যামরূপা দেবীকে দুর্গাজ্ঞানে পুজো করা হয়। শ্যামরূপা মন্দিরের কাছেই রয়েছে ঐতিহাসিক দেউল। এই দুই জায়গায় সারা বছরই পর্যটকরা আসেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই দুই জায়গায় যাওয়ার রাস্তার অবস্থা বেহাল। সে কারণে পর্যটকদের সমস্যা হয়। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য পর্যটকরা একাধিকবার দাবিও তুলেছেন। এবার এই রাস্তা নতুন রূপ পেতে চলেছে বলে জানালেন কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, শ্যামরূপা মন্দিরে সারা বছরই বহু মানুষ আসেন। খারাপ রাস্তার জন্য তাঁদের ভোগান্তি হয়। তবে রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় উদ্যোগ নিয়েছেন রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য। প্লেভার ব্লক দিয়ে রাস্তা তৈরি হবে। পাশাপাশি শিবপুর-মুচিপাড়া রাস্তার উপর তৈরি হবে একটি তোরণ। যাতে বাইরের মানুষদের শ্যামরূপা মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা বুঝতে সুবিধা হয়। তিনি জানান, প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা খরচ করে পঞ্চায়েত সমিতি ওই তোরণ নির্মাণ করবে। রাস্তার কাজ শেষ হলে তোরণের কাজ শুরু হবে। আশা রাখছি সামনের দুর্গাপুজোর আগে রাস্তা ও তোরণের কাজ সম্পূর্ণ হবে।  কথিত আছে, অষ্টমীর দিন দেবীর স্বপ্নাদেশ উপেক্ষা করে ইছাই ঘোষ যুদ্ধে গিয়েছিলেন। কিন্তু যুদ্ধে তিনি পরাজিত ও নিহত হন। জানা যায়, লক্ষ্মণ সেনের আমলে এখানে একজন কাপালিক নরবলি দিয়ে মায়ের সাধনা করতেন। কবি জয়দেব এসে নরবলি বন্ধের জন্য কাপালিককে অনুরোধ করেন। কিন্তু কাপালিক সেই অনুরোধ রক্ষা না করলে জয়দেব ভক্তিবলে মায়ের মুখ কৃষ্ণ করে দেন। শ্যামরূপে মা কালীর দর্শন পান কাপালিক। দেবীর নাম হয় শ্যামরূপা। এই নামটিও কবি জয়দেবেরই দেওয়া। দেবী এখানে একাধারে কালী ও দুর্গা। কথিত রয়েছে, অবিভক্ত বাংলার প্রথম দুর্গাপুজো নাকি এখানেই হয়। এখান থেকেই প্রায় ছ’ কিলোমিটার মোরামের রাস্তা দিয়ে গেলেই পড়বে ইছাই ঘোষের দেউল। বলা হয়, গোপ বংশের রাজা ইছাই ঘোষ এই দেউলটি নির্মাণ করেছিলেন।  
  • Link to this news (বর্তমান)