নবদ্বীপ ঘাট থেকে কৃষ্ণনগরগামী রাস্তার দেড় কিমি অংশ বেহাল
বর্তমান | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপ ঘাট থেকে কৃষ্ণনগরগামী সড়কের দেড় কিমি অংশ বেহাল দশায় রয়েছে। ওই সড়কের ফকিরতলা মোড় থেকে ভাগীরথী বিদ্যাপীঠ মোড় পর্যন্ত রাস্তায় কোথাও বড় বড় গর্ত হয়েছে, আবার কোথাও পিচ উঠে পাথর বেরিয়ে পড়েছে। বেশ কিছু জায়গায় রাস্তার দশা এতটাই খারাপ যে, হেঁটেও যাতায়াত করতে পথচারীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মাঝেমধ্যেই পূর্তদপ্তরের ওই রাস্তায় দুর্ঘটনা লেগে থাকে। কিছু জায়গায় দু’দিকে পিচ ভাঙতে ভাঙতে রাস্তা সরু হয়ে পড়েছে। সেখান দিয়ে পাশাপাশি দু’টি গাড়ি যেতেও সমস্যা হয়।
পূর্তদপ্তরের নদীয়া হাইওয়ে ডিভিশন-১-এর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বুলবুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তাটি মজবুত করে তৈরির প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। এজন্য ডিপিআর তৈরি চলছে।
কৃষ্ণনগর যাওয়ার প্রধান রাস্তা হওয়ায় রোজ এই পথে ২৪টি বাস চলাচল করে। সেইসঙ্গে প্রায় ২০০ অটো, নবদ্বীপ ঘাট থেকে কৃষ্ণনগর স্টেশনের মধ্যে যাতায়াত করে। চরমাজদিয়া–চরব্রহ্মনগর, স্বরূপগঞ্জ, মাজদিয়া–পানশিলা-এই তিনটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা রাস্তাটি দিয়ে মহেশগঞ্জে বিডিও অফিসে যান। মহেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতেও এই রাস্তা দিয়েই যেতে হয়। ভাগীরথী বিদ্যাপীঠের পড়ুয়ারাও রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করে। রাস্তার এমন দশায় সবাইকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। রোগী নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্গাপুজো বা দোল উৎসবের আগে মাঝেমধ্যে জোড়াতালি দিয়ে রাস্তা সারানো হয়। তারপর কিছুদিনের মধ্যে রাস্তা ফের ভেঙে যায়। ভাগীরথী বিদ্যাপীঠের শিক্ষক সুরজিৎ চক্রবর্তী বলেন, বিশেষ করে ফকিরতলা মোড় থেকে গৌড়ীয় মঠ পর্যন্ত রাস্তার বেশিরভাগ জায়গা খানাখন্দে ভরা। অনেক জায়গায় পিচ উঠে পাথর বেরিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী তাপস পাল বলেন, কিছু কিছু জায়গায় সাইকেল নিয়েও যাওয়া যায় না। রাস্তাটি তাড়াতাড়ি সংস্কার করা দরকার। মাজদিয়ার টোটো চালক গোবিন্দ দেবনাথ বলেন, খারাপ রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের ফলে টোটোর যন্ত্রাংশ খুব তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। টোটো মেরামত করতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের তেমন আয় হচ্ছে না।