• এমজেএনের ইন্টার্নের রহস্যমৃত্যু তরুণীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ 
    বর্তমান | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্নের মৃত্যু রহস্যের কিনারা করতে তৎপর পুলিস। বৃহস্পতিবারই থানায় ডেকে এক তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জেরার পর অবশ্য বাড়ি ফিরে যান তিনি। শুক্রবার সকালে নিজের বাড়িতেই ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের লোকজন অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে কোচবিহার মেডিক্যালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই যুবতী। তাঁর বাড়ি কোচবিহার শহরেই। ওই ইন্টার্নের সঙ্গে তরুণীর কোনও পরিচয় ছিল কি না পুলিস তা খতিয়ে দেখছে। কেন এই আত্মহত্যার চেষ্টা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।


    উল্লেখ্য, বুধবার রাতে এম জে এন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হস্টেল থেকে ইন্টার্ন বিহারের বাসিন্দা কিষান কুমার (২৮)-এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। রাতে নিজের রুমেই ছিলেন তিনি। খাওয়ার জন্য বন্ধুরা ডাকতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ নির্মলকুমার মণ্ডল, এমএসভিপি ডাঃ সৌরদীপ রায় সহ অন্য আধিকারিকরা। কোতোয়ালি থানার পুলিস গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি রাতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। এরপরই ওই বিবাহবিচ্ছিন্না তরুণীকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। যুবতীর বউদি বলেন, পুলিস আমার ননদকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ছেড়ে দেয়। রাতে বাড়িতেই ছিল। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ সে ঘরে রাখা ফিনাইল খেয়ে নেয়। আমি এবং আমার শাশুড়ি ওকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করি। এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে কেন ও এমন ঘটনা ঘটালো জানি না। মৃত ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে ওর কোনও পরিচয় ছিল কি না তাও আমাদের জানা নেই। কারণ ও আমাদের এব্যাপারে কিছুই বলেনি। আমার ননদের আগে দু’টি বিয়ে হয়েছিল। ৬-৭ বছর ধরে কোচবিহারে বাপের বাড়িতেই থাকে। ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টার বিষয়টি নিয়ে কোচবিহারের পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, বিষয়টি জানা নেই। পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চলছে। এদিকে ওই ইন্টার্নের মোবাইলটি খতিয়ে দেখছে পুলিস। 


    ঘটনার পর থেকেই মৃত ওই চিকিত্সক পড়ুয়ার কয়েকজন বন্ধু মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাঁদের যাতে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা যায় সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে মেডিক্যাল কলেজের তরফে। এ বিষয়ে কলেজের প্রিন্সিপাল বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। বন্ধুর আকস্মিক মৃত্যুতে কয়েকজন পড়ুয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তাদের যাতে কাউন্সেলিং করানো যায় তার চেষ্টা চলছে। কয়েকজন আবার ছুটিতে যাওয়ার কথাও বলেছে। 


    তারা আবেদন জানালে ছুটির বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে 


    বিবেচনা করা হবে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে অ্যকাডেমিক বিল্ডিংয়ের সামনে ডাক্তারি পড়ুয়ারা মৃত ছাত্রের ছবি টাঙিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান।  এদিকে, এই ঘটনার পর ছাত্রদের বিভিন্ন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে প্রিন্সিপালের নামে মিম ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে খবর। যদিও প্রিন্সিপাল বলেন, আমাকে অস্বস্তিতে ফেলাই একাংশ ছাত্রের উদ্দেশ্য। 
  • Link to this news (বর্তমান)