সংবাদদাতা, মেখলিগঞ্জ: পণ্যের মূল্য নির্ধারণ তাঁদের কাজ নয়। বোল্ডার রপ্তানি নিয়ে বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিল ভুটানের ব্যবসায়ী সংগঠন। ভুটান এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বাংলাদেশের লালমণিরহাট জেলার বুড়িমারি ল্যান্ডপোর্টের ইমপোর্টার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনকে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, এটি একটি ব্যবসায়ীক সংগঠন। পণ্যের মূল্য নির্ধারণের মতো কার্যকলাপের সঙ্গে তারা যুক্ত হতে পারে না। সরকারি নির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে তাঁদের বৈদেশিক বাণিজ্য করতে হয়। শুক্রবার এবং শনিবার বাংলাদেশে ছুটি। অর্থাৎ, পরপর দুদিন বাণিজ্য বন্ধ থাকছে। এই অবস্থায় চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে স্তব্ধ হয়ে থাকা বোল্ডার রপ্তানি নিয়ে জটিলতা কাটার সম্ভাবনা আপাতত আরও পিছিয়ে গেল। এই সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের পাশাপাশি ভুটান-বাংলাদেশের মধ্যেও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চলছে। ভারত ও ভুটান থেকে প্রতি টন বোল্ডার ১০ ডলার এবং ১৬ ডলার হিসেবে আমদানি করে আসছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দেশের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এই দরে বোল্ডার আমদানি করে লাভ হচ্ছে না বলে দাবি। বরং লোকসান হচ্ছে জানিয়ে ভারত ও ভুটানের ব্যবসায়ীদের দর কমানোর দাবিতে চিঠি দিয়ে এক ফেব্রুয়ারি থেকে বোল্ডার আমাদানি বন্ধ রেখেছেন ওপারের ব্যবসায়ীরা। যার জেরে অন্য পণ্য আমদানি-রপ্তানি চালু থাকলেও বোল্ডার পাঠানো বন্ধ হয়ে রয়েছে। বিষয়টি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত দুই পারের প্রচুর মানুষের। তাঁদেরই একাংশ দাবি করেছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈঠকে বসে আলোচনা করে সমস্যা মেটানো হোক। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বোল্ডার নেওয়া বন্ধ রেখেছেন বলে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোজ কানু এবং সম্পাদক উত্তম সরকার বলেন, স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্য চালুই রয়েছে। তবে বাংলাদেশের তরফে বোল্ডার আমদানি বন্ধ করে রাখা হয়েছে।