বাংলাদেশ থেকে এসে তিন-চারটি বিয়ে! নির্যাতনের গল্প ফেঁদে চলত টাকা আদায়
বর্তমান | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে একাধিবার বিয়ে করেছিল সে। সব বিয়ের পরই স্বামীদের বিরুদ্ধে তুলত বধূ নির্যাতনের অভিযোগ। তারপর ব্ল্যাকমেল করে আদায় করত টাকা। সেই টাকা নিয়ে আবার চলে যেত বাংলাদেশ। অবশেষে বিধাননগর কমিশনারেটের নারায়ণপুর থানার হাতে গ্রেপ্তার হল সেই বাংলাদেশি যুবতী। সে গত অক্টোবরে আরও একটি বিয়ে করেছিল। সেই নতুন স্বামীর বিরুদ্ধেই বধূ নির্যাতনের অভিযোগ করতে এসেছিল। কিন্তু, ততক্ষণে পুলিসের খাতায় ওই বাংলাদেশির নাম উঠে গিয়েছিল। তাই বিয়ে করে প্রতারণার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিন-চারজনকে বিয়ে করেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিস। তবে, সঠিক সংখ্যা পেতে তদন্তও শুরু হয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, ওই বাংলাদেশি যুবতীর নাম সাহানা সাদিক। সে বার ছয়েক বাংলাদেশ থেকে ভারতে বৈধ পথে এসেছে। নিউটাউন ও রাজারহাট এলাকার প্রায় তিন-চারজনকে সে বিয়ে করেছে। অভিযোগ, বিয়ে করে সে কিছুদিন সংসার করত। তারপরই অভিযোগ করত বধূ নির্যাতনের। ‘বাংলাদেশি’ হলেও সে নিজেকে ‘ভারতীয়’ বলে পরিচয় দিত। তার জন্য ভারতীয় নাগরিকের শংসাপত্রও তৈরি করেছিল। তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, সে শেষ বিয়ে করেছিল গত অক্টোবরে নারায়ণপুর থানা এলাকার এক যুবককে। তা অবশ্য বৈধ ছিল না। বৃহস্পতিবার সে স্বামীর বিরুদ্ধে নারায়ণপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিল। স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের পাশাপাশি সে পুলিসকে জানিয়েছিল তার ছবি তুলে স্বামী পাবলিক করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে!
মহিলার অভিযোগে সন্দেহ হয় পুলিসের। তার সম্পর্কে খোঁজ করতে গিয়ে পুলিস জানতে পারে, সে আগেও এই ধরনের অভিযোগ করেছে। সেখানে স্বামীর নাম আলাদা! তদন্তে তার একাধিক স্বামীর নাম উঠে আসে। তারপর পুলিস ওই মহিলাকে জেরা করতেই সে অপরাধ কবুল করে। বিধাননগর কমিশনারেটের এক অফিসার বলেন, সে তিন-চারটি বিয়ে করেছিল বলে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। বাংলাদেশে অশান্তির পরই সে শেষ বিয়েটি করেছিল। কিন্তু, একই কায়দায় টাকা আদায় করতে গিয়েই সে ধরা পড়েছে। শুরু হয়েছে ঘটনাটির তদন্ত। কীভাবে সে ভারতীয় নথি পেল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।