রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে, নন্দীগ্রামে বিশেষ ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এখন সেই নগেন্দ্র ত্রিপাঠী রাজ্য পুলিশে ডিআইজি পদে কর্মরত। তাঁকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ)-এর ডিআইজি পদে যোগ দেবেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বুধবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে একটি চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আন্ডার সেক্রেটারি সঞ্জীব কুমার। তাতেই ২০০৯ সালের ব্যাচের আইপিএস নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকে সিআইএসএফ-এর ডিআইজি পদে যোগ দেওয়ার কথা বলা হয়। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, তাঁকে দিল্লিতে ‘ডেপুটেশনে’ পাঠাতে রাজি হয়েছে রাজ্য সরকার।
নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকে ছাড়াও রাজ্যে কর্মরত আরও দু’জন আইপিএস অফিসারকে ‘ডেপুটেশনে’ চেয়েছে কেন্দ্র বলেও জানা গিয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকে ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, অন্য দুই আইপিএসের ক্ষেত্রে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি রাজ্যের আধিকারিকদের দিল্লিতে ‘ডেপুটেশনে’ পাঠানোর বিরোধী বলেও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনে লড়াই করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ওই কেন্দ্রে তাঁর বিরুদ্ধে ছিলেন বিজেপির নেতা তথা রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময়ে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের জন্য বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠানো হয়েছিল নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকে। নির্বাচনের দিনে, বিজেপির লোকজন ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে একটি বুথের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বুঝিয়ে ওই অবস্থান শেষ করতে সমর্থ হন নগেন্দ্র ত্রিপাঠী। পরে তাঁকে বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার করে পাঠানো হয়েছিল ।