• প্রাথমিকে দুর্নীতি: নিয়োগে সুপারিশ করেছিলেন কারা, নতুন নামে জারি বিতর্ক
    এই সময় | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে ‘সুপারিশপত্র’ পাঠিয়েছিলেন একাধিক বিজেপি নেতাও?

    প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে এমনই দাবি সিবিআইয়ের। তদন্তকারী এজেন্সি সূত্রের খবর, এই মামলার চার্জশিটের সঙ্গে যে সব প্রামাণ্য নথি (রিলায়েড আপন ডকুমেন্ট) জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে নাম রয়েছে প্রাক্তন এমপি তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু অধিকারী, প্রাক্তন পুলিশকর্তা তথা বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষেরও— যাঁরা বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর নাম সুপারিশ করেছিলেন। এই তালিকায় নাম রয়েছে বর্তমানে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরেরও।

    সিবিআইয়ের নথিতে উল্লেখ, প্রাথমিকে শিক্ষকের চাকরির জন্য কুড়ি জনের নাম দিয়েছিলেন কাঁথির প্রাক্তন সাংসদ তথা বিধানসভার বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু। ভারতী ঘোষ চার জনের নাম সুপারিশ করেছিলেন। মমতাবালা পাঠিয়েছিলেন কুড়ি জনের নাম। তদন্তকারীদের দাবি, তাঁরা তল্লাশি চালিয়ে যে সব নথি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন, সেখানে অন্তত ৩২৪ জনের নাম চাকরির জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৩৪ জন চাকরি পেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে সিবিআই নথিতে।

    ২০১৪–এর প্রাথমিকের টেটের ভিত্তিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই সুপারিশ করা হয়েছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। যদিও এ নিয়ে ভারতীর বক্তব্য, ‘হাসপাতালে রোগী ভর্তি করাতে গেলেও সুপারিশ করা হয়। সেটা কি অন্যায়? দেখতে হবে, টাকা নিয়েছি কি না। সিবিআই যদি প্রমাণ করতে পারে, এক পয়সা নিয়েছি তা হলে যা বলবে মেনে নেব।’ মমতাবালার কথায়, ‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। সিবিআই কাদের কথায় চলে, সব জানা আছে।’ দিব্যেন্দুর বক্তব্য, ‘আমি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’

    এ দিন প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতায় বিচার ভবনের বিশেষ সিবিআই আদালত। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি কুন্তলের ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়া হবে। এই মামলায় জামিনে মুক্ত কুন্তলকে ওই দিন আদালতে হাজির থাকতে হবে। এর আগে এই মামলায় ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ভয়েস স্যাম্পেলও নিয়েছে সিবিআই।

    এই মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার কতা জানিয়ে এ দিন একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে আদালতে। কোর্টের নির্দেশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পার্থ। হাসপাতালের কাছে বিচারক জানতে চান, কেমন আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? হাসপাতাল জানায়, তিনি এখন ভালো আছেন। বিচারক জানতে চান, তাঁকে কি ছাড়া যেতে পারে? হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, তাঁকে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে দু’–একদিনের মধ্যে। পার্থকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পর আদালতের কাছে গোটা বিষয়টি জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)