• হিন্দমোটর জুড়ে বেহাল রাস্তা, চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী
    এই সময় | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • কোথাও খাদের মতো গর্ত। কোথাও পাহাড়ের মতো এবড়ো-খেবড়ো অবস্থা। এক সুতো এদিক-ওদিক হলে টোটো হোক বা বাইক-স্কুটার, উল্টে পড়তে কয়েক সেকেন্ড। গত প্রায় দু’মাসের বেশি সময় ধরে এমনই অবস্থা হিন্দমোটরের দেবাইপুকুর সংলগ্ন রাস্তার। যে রাস্তা দিয়ে সরাসরি চলে যাওয়া যায় হিন্দমোটর স্টেশনে। অত্যন্ত ব্যস্ত এই রাস্তার চরম বেহাল অবস্থা দেখে আঁতকে উঠছেন এলাকাবাসী।

    কিছু জায়গায় পাইপ বসানো ও কিছু জায়গায় নর্দমা বড় করার জন্য রাস্তা খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছিল প্রায় মাস দু’য়েক আগে। তখন বলা হয়েছিল, কাজ সম্পূর্ণ হলে এলাকারই উপকার হবে। বর্ষায় জল জমবে না। ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে যাবে সহজে।

    প্রাথমিক কষ্ট কাটিয়ে সাহায্যের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু, যে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার কথা বলা হয়েছিল, বাস্তবে তা একেবারেই হলো না। স্টেশন রোড থেকে দেবাইপুকুর মন্দিরের পাশ দিয়ে সোজা রাস্তা চলে গিয়েছে মালির বাগানের দিকে। খোঁড়া হবে পুরো রাস্তাটাই। সেখানে রয়েছে পার্লস অফ গড স্কুল। প্রচুর ছাত্রছাত্রী আসে রোজ। সেখানে রাস্তা খোঁড়ার কাজ শুরু হলে অবস্থা কতটা ভয়াবহ হবে, তা নিয়ে এখন থেকেই আতঙ্কে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।

    টোটো এবং রিক্সা চালকরা এই মন্থরতায় মারাত্মক ক্ষুব্ধ। কয়েকদিন আগে প্রচুর ঘুরে স্টেশনে যেতে হচ্ছিল তাঁদের। ভাড়া হয়েছিল দ্বিগুণ। অনেকেই হেঁটে যাচ্ছিলেন। ফলে টোটো চালকদের রোজগারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল বড় আকারে। অবশেষে, ঝুঁকি নিয়েই এই এবড়ো খেবড়ো রাস্তাতেই গাড়ি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকেইযাচ্ছে।

    কেন এমন হাল?

    এলাকার পুরপিতা সিপিএমের প্রবীর কংসবণিকের ব্যাখ্যা, ‘লাইব্রেরির সামনের রাস্তায় গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের পুরোনো ম্যানহোল রয়েছে। জলের লাইন রয়েছে। সিইএসসির ২৫ হাজার ভোল্টের কেবল গিয়েছে। এগুলো না সরালে ওই রাস্তার কাজ করা সম্ভব নয়। সিইএসসি সব দেখে গিয়েছে। সোমবার প্রতিনিধিরা এসে জানাবেন কী করতে হবে। অসুবিধে হচ্ছে সবারই। আমার নিজের বাড়ির সামনেই রাস্তা খোঁড়া। আর একটু ধৈর্য আমাদের সবাইকেই ধরতে হবে।’ এলাকাবাসী অবশ্য ধৈর্য ধরতে ধরতে ক্লান্ত। আগামী সপ্তাহে সমস্যার সমাধান না হলে বড় আন্দোলনের পথে যাওয়ার ভাবনা চলছে।

  • Link to this news (এই সময়)