এই সময়, কাকদ্বীপ: বৃহস্পতিবার বিকেলে সাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপের পাশে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাংলাদেশি বার্জ এমভি সি ওয়ার্ল্ড শুক্রবার দুপুর থেকে ক্রমশ মুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবতে শুরু করে। ফলে বার্জে থাকা বিপুল পরিমাণ ফ্লাই অ্যাশ নদীতে মিশে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
নদীর চড়ায় ধাক্কা মারার পর পাটাতনের পাশাপাশি বার্জের মাঝের অংশ দু’ভাগ হয়ে যাওয়ায় জোয়ারের সময় বার্জটি পুরোপুরি ডুবে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ওই এলাকায় প্রচুর প্রান্তিক মৎস্যজীবী জাল দিয়ে মাছ ধরেন। বার্জটি পুরোপুরি ডুবে গেলে সমস্যায় পড়বেন তাঁরা। ফ্লাই অ্যাশ নদীর জলে মিশে গেলে দূষণ ছড়াবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে পুরো বিষয়টি। বার্জের ভারতীয় এজেন্টকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাগর থানার পুলিশ ডুবন্ত বার্জের পাশে পাহারায় আছে। একাধিক পাম্প বসিয়ে পাটাতনে ঢুকে থাকা জল বের করে বার্জটিকে ভাসিয়ে রাখার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
দ্রুত ডুবন্ত বার্জটিকে সরানো না গেলে মুড়িগঙ্গা নদীর ওই চ্যানেল দিয়ে বড় জাহাজ ও বার্জ চলাচলে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কাকদ্বীপ, সাগরদ্বীপ ও ঘোড়ামারা দ্বীপের আশেপাশে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কয়েক হাজার মৎস্যজীবী ছোট ডিঙি নৌকো, ভুটভুটিতে করে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন।
বহু মৎস্যজীবী ওই এলাকা জুড়ে মাছের মিন ধরেন। স্থানীয় মৎস্যজীবীদের দাবি, ডুবন্ত বার্জ থেকে দ্রুত ছাই বের করা না গেলে সমস্ত ছাই নদীর জলে মিশে দূষণ ছড়াবে। ওই এলাকা বঙ্গোসাগরের মোহনা হওয়ায় এই দূষণের জেরে মাছের আনাগোনা কমার পাশাপাশি মাছের মিন পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠবে।
যদিও পুলিশ প্রশাসনের তরফে ডুবন্ত বার্জটির ভেতর থেকে মজুত ছাই নদীর জলে মেশার আগে দ্রুত উদ্ধারের জন্য কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বার্জের এজেন্সিকে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে বার্জে থাকা ১২ জন নাবিককে সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে নাবিকদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।