কেন্দ্র দেয়নি, নদীবাঁধ সংস্কারে রাজ্যের বরাদ্দ ২০০ কোটি, স্বস্তির শ্বাস সুন্দরবনে ...
আজকাল | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফি বছর বর্ষাকালে নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। নদীবাঁধ সংস্কারের জন্য বাসিন্দারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বহুবার আবেদন করেছেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। সম্প্রতি রাজ্য বাজেটে বিভিন্ন নদীবাঁধ সংস্কারের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তাতে স্বস্তি ফিরেছে নদীবেষ্টিত সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপে। রাজ্য সরকারকে বাসিন্দারা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। +
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, হাড়োয়া ও মিনাখাঁ–সহ ১০টি ব্লক নদীবেষ্টিত। ফি বছর বর্ষাকালে বিভিন্ন নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বহু মানুষকে গৃহহীন হতে হয়। আশ্রয় নিতে হয় বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে। আবহাওয়া দপ্তর কোনও ঘূর্ণিঝড় বা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলে সুন্দরবনের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। গত কয়েক বছরে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিয়ে বিভিন্ন নদীবাঁধ মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু তাতে স্থায়ী সমাধান হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাসিন্দাদের দাবি ছিল, বিপজ্জনক নদীবাঁধগুলোকে কংক্রিট ঢালাই করে দেওয়া হোক। সুন্দরবন নদীবাঁধ ও জীবন জীবিকা রক্ষা কমিটির সভাপতি অজয় বাইন বহু আন্দোলন করেছেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে তিনি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু বাসিন্দাদের সে দাবি কেন্দ্রীয় সরকার পূরণ করেনি।
চলতি বছর রাজ্য বাজেটে বিভিন্ন নদীবাঁধ সংস্কারের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বাসিন্দাদের প্রত্যাশা, এবার দ্বীপাঞ্চলের নদী বাঁধগুলো স্থায়ীভাবে মেরামত করা হবে। বর্ষাকালে নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত জলে কাউকে গৃহহীন হতে হবে না। অজয় বলেন, ‘সুন্দরবন মূলত নদীবেষ্টিত কয়েকটি দ্বীপের সমষ্টি। বর্ষাকাল বা বড় কোনও ঝড় বৃষ্টি হলে বিভিন্ন নদীবাঁধ ভেঙে যায়। প্লাবিত জলে গৃহহীন হয়ে পড়েন বহু মানুষ। আমরা বহু আন্দোলন করেছি। কিন্তু কোনও কাজ হচ্ছিল না। অবশেষে রাজ্য সরকার নদীবাঁধ সংস্কারের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। প্রয়োজনের তুলনায় টাকার পরিমাণ কম। তবু রাজ্য সরকার যে বিষয়টিতে নজর দিয়েছে, তাতে আমরা খুশি। আমাদের আশা, এবার সুন্দরবনের দুর্বল নদী বাঁধগুলোকে স্থায়ীভাবে কিছুটা মেরামত করা হবে। পাশাপাশি ম্যানগ্রোভ লাগাতে হবে। না হলে সুন্দরবনের নদীবাঁধকে বাঁচানো যাবে না।’