• হুগলির অতনুর অবাক করা কাহিনি সকলের নজরে, তবে এতসব করেও চিন্তায় এই তরুণ
    আজকাল | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • মিল্টন সেন, হুগলি : পরিত্যক্ত কারখানার আবাসন মাথা গোজার জায়গা। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এই অবস্থাতেই এই পরিবারের তরুণের দৃশ্য যোগাসন চ্যাম্পিয়নে যোগ দেওয়ার সুযোগ ! ২৯ শে মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিযোগিতা হবে ভিয়েতনামের হানায়াতে। যাতায়াতের খরচ প্রায় লাখ টাকা। ছেলের স্বপ্নপূরণের সেই টাকা জোগাড়ের জন্য দুঃস্বপ্নের মধ্যে পড়ে রয়েছেন মা-বাবা।

    হুগলির বৈদ্যবাটি পুরসভা ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জঙ্গল রোডের বাসিন্দা তরুণ অতনু হালদার। বৈদ্যবাটি বনমালী মুখার্জি ইনস্টিটিউটের একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের ছাত্র অতনু। বিশ্বের আঙিনায় যোগাসন প্রতিযোগিতায় পৌঁছানো যে কতটা কঠিন তা সে ভালমতই জানে। তবে পারিবারিক অবস্থার মধ্যে সে কিভাবে বিশ্ব যোগাসনে প্রতিযোগী হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও যদি একবার সেখানে পৌঁছাতে পারে তাহলে দাঁতের দাঁত চেপে হলেও নিজের সেরা পারফরমেন্সটা দেবে বলে জানিয়েছে অতনু। 

    অতনুর বাবা সঞ্জয় হালদার একজন ভ্যানচালক। মা বুলু হালদার জানান, ভিয়েতনামে যাওয়ার জন্য ৩৫ হাজার টাকা পাঠানোর কথা ছিল সোমবারের মধ্যে। কিন্তু সেই টাকা যোগাড় হয়ে ওঠেনি এখনও। রাজ্য যোগা সংস্থার কাছে আরও পাঁচ দিন সময় চেয়েছেন তারা। তিনি বলেন, ছেলের স্কুল এবং ক্লাবের প্রশিক্ষক স্থানীয় পুর প্রতিনিধি থেকে শুরু করে পুরপ্রধান, বিধায়ক সকলকে জানিয়েছেন তিনি। সকলের থেকেই আশ্বাস পেয়েছেন কিন্তু অর্থ যোগার এখনও হয়ে ওঠেনি।

    অতনু জানিয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মহাকুমা, জেলা রাজ্য স্তরে সাফল্য আসার পর এখন বিশ্বের দরবারে তার ডাক এসেছে। এবারের প্রথম জাতীয় স্তরে নেমে সাফল্য পেয়েছে সে। তার স্বপ্ন রয়েছে ভিয়েতনামে গিয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করার। অপেক্ষা শুধু অর্থ সংস্থানের।

     
  • Link to this news (আজকাল)