• চাকরির সুপারিশকারী দিব্যেন্দু, ভারতীও: সিবিআই
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • প্রাথমিকে চাকরি করিয়ে দেওয়ার জন্য নাম সুপারিশ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী ও বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই তালিকায় তৃণমূলের শওকত মোল্লা ও মমতাবালা ঠাকুরেরও নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, মোট ২০ জনের নাম এই তালিকায় রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে একাধিক নাম সুপারিশ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে চাকরিও পেয়েছেন বলে খবর।

    জানা গিয়েছে, সিবিআই একটি তালিকা পেশ করেছে, যে তালিকায় থাকা প্রত্যেকেই চাকরিপ্রার্থীদের নাম সুপারিশ করেছিলেন। গত বছরের জুন মাসে বিকাশ ভবনের ওয়্যারহাউসে অভিযান চালিয়ে যে নথি উদ্ধার করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখেই দিব্যেন্দু, ভারতীদের নাম হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এই তালিকা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পাঠানো হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। তাঁরা জানিয়েছে, মোট ৩২৪ টি নাম সুপারিশ করা হয়েছিল।

    ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় থেকে পদ্মশিবিরের দিকে ঝোঁক বাড়তে থাকে দিব্যেন্দুর। পরে তিনিও বিজেপিতে যোগদান করেন। বিজেপিতে যোগদানের আগে তিনি এই সুপারিশ করেছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। অপরদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ভারতী ঘোষ কয়েকটি সুপাশির করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বনগাঁর সাংসদ থাকাকালীন মমতাবালা চাকরিপ্রার্থীর নাম সুপারিশ করেছিলেন। এছাড়াও একাধিক বিধায়কের নাম তালিকায় রয়েছে।

    জানা গিয়েছে, দিব্যেন্দু ঘোষ ২০ জনের চাকরিপ্রার্থীর নাম সুপারিশ করেছিলেন। ভারতী ঘোষ সুপারিশ করেছিলেন চারজনের নাম। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ দুর্নীতি মামলাকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। এবার তাঁদেরই প্রথম সারির দুই নেতার নাম এই মামলায় জড়িয়ে পড়ল। এই ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের ভূমিকা কি থাকে তা–ই এখন দেখার বিষয়।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)