সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: সাফাই কর্মীর অভাবে রোগীর বাবাকে দিয়ে বমি পরিষ্কার করানোর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় স্বাস্থ্যমহল। শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ঘটনায় রিপোর্ট তলব, তদন্ত কমিটি গঠনের পর অভিযুক্ত চিকিৎসককে শোকজ করেছে স্বাস্থ্যভবন। এসবের মাঝেই আরও একটি ঘটনায় ফের আলোচনার শীর্ষে শান্তিপুরের এই হাসপাতাল। এবার সেখানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ফলে এই হাসপাতালের সামগ্রিক পরিকাঠামো নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল।
জানা যাচ্ছে, শান্তিপুর থানা এলাকার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পালপাড়ার বাসিন্দা রাজু ভৌমিক ভুগছিলেন দাঁতের সমস্যায়। শনিবার তিনি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যান চিকিৎসার জন্য। সেখানে তাঁর দাঁত পরীক্ষার পর ওষুধ দেওয়া হয়। ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে তা কেনেন রাজু। এরপর বাড়ি ফিরে সেই ওষুধ খেতে গিয়ে তিনি দেখেন, তার মেয়াদ ফুরিয়েছে। অর্থাৎ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছবি তুলে অভিযোগ জানান। রাজুর বক্তব্য, এই ঘটনায় তিনি সোজা স্বাস্থ্যদপ্তরে অভিযোগ করবেন।
এই ঘটনা জানাজানি হতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রোগী ও পরিবারগুলি। তাঁদের সকলের প্রশ্ন, একটা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে এত ফাঁকফোঁকড় থাকলে কীভাবে নির্ভর করবেন সাধারণ মানুষ? শুক্রবারই এই হাসপাতালের একটি কাণ্ড ঘটেছে। অসুস্থ পাঁচ বছরের মেয়েকে চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মেয়ের বমি পরিষ্কার করতে হয় বাবাকে। অভিযোগ, কর্তব্যরত চিকিৎসক স্পষ্ট জানান যে সাফাইকর্মী নেই, বাবাকেই পরিষ্কার করতে হবে। এই ঘটনায় বেশ ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্যদপ্তর কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটছে। তার মাঝে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগে শান্তিপুর হাসপাতালের দুর্দশা আরও প্রকাশ্যে এল।