• রাস্তায় মেয়ের হাত ধরে নিগ্রহ, প্রতিবাদে বাবাকেও মার, নন্দীগ্রামে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী
    এই সময় | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। অভিযুক্ত নন্দীগ্রামের বিজেপি কর্মী শশাঙ্কশেখর মণ্ডল। শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। মেয়ের শ্লীলতাহানির ঘটনার প্রতিবাদ করায় বাবাকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রঙ্কিনীপুর গ্রামে। কলেজপড়ুয়া ওই তরুণীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত শশাঙ্ক ওই গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ টিউশন থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই তরুণী। অভিযোগ, তখনই রাস্তা আটকে তাঁর হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন ওই বিজেপি কর্মী। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরেই ওই ছাত্রীর বাড়ি। পরিচিত কণ্ঠের (মেয়ের) চিৎকার শুনে ছাত্রীর মা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। অভিযোগ, তাঁকেও সেই সময়ে হেনস্থা করা হয়।

    খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন যুবতীর বাবা। তাঁর অভিযোগ, স্ত্রী ও মেয়ের হেনস্থার প্রতিবাদ করলে বন্দুকের বাঁট তাঁর চোখে আঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন জড়ো হতে শুরু করলে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান শশাঙ্ক। যাওয়ার সময় শশাঙ্ক প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে যান বলেও অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে জখম ছাত্রীর বাবাকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    এ দিন বিকেলেই নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রীর মা। অবিলম্বে দোষীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। হলদিয়ার এসডিপিও অরিন্দম অধিকারী বলেন, ‘পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

    ঘটনার প্রতিবাদ করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সুনীল জানা বলেন, ‘ওই ব্যক্তি বিরুলিয়া অঞ্চলে সাধারণ মানুষের উপর দিনের পর দিন অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করুক, এটাই চাই।’ যদিও অভিযুক্ত শশাঙ্কের সঙ্গে বারবার ফোনে যোগাযোগ করেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তমলুকের সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘এখানে রাজনৈতিক কোনও বিষয় নেই। পুলিশ তদন্ত করে দোষীর উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক।’

  • Link to this news (এই সময়)