সংবাদদাতা, বোলপুর: বধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। শনিবার শান্তিনিকেতন থানার চারুপল্লির হেমলতা কুমারীর(২৩) রহস্যমৃত্যু হয়। তাঁর বাপেরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের জেরেই হেমলতার মৃত্যু হয়েছে। ওই বধূর পিসতুতো দাদা প্রভাস রায় শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিস চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিস জানিয়েছে, বিহারের বৈশালী জেলার বাসিন্দা হেমলতার সঙ্গে একবছর আগে শান্তিনিকেতনের বাগানপাড়ার সোমনাথ ঘোষের বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই হেমলতার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হতো। সোমনাথ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল। তাই স্ত্রীকে পছন্দ করত না। এনিয়ে তাদের মধ্যে বহুবার অশান্তি হয়েছে। হেমলতার পরিবার বারবার মীমাংসা করতে চেয়েছে। কিন্তু, দিন দিন ওই বধূর উপর অত্যাচার আরও বেড়েছে।
এদিন হেমলতার পিসতুতো দাদা তথা বোলপুরের বাসিন্দা প্রভাস রায় বোনের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। এরপরই তিনি শান্তিনিকেতন থানায় বোনের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে হেমলতার শ্বশুর জিনাথ ঘোষ, শাশুড়ি কুটিলা ঘোষ, ভাশুর যতীন্দ্রনাথ ঘোষ ও স্বামী সোমনাথকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। প্রভাস বলেন, আমরা নিশ্চিত, বোনের মৃত্যুতে ওই পরিবারের হাত রয়েছে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।