রাস্তায় খাবার বিক্রেতাদের জন্য ফুড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করছে রাজ্য
বর্তমান | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: ফুচকা থেকে মোমো, স্ট্রিট ফুডের প্রতি টান আট থেকে আশি সকলেরই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেই খাবার তৈরি না করার অভিযোগ ওঠে। এবার থেকে স্ট্রিট ফুড বিক্রেতাদের খাদ্য সুরক্ষা বিধি মানার বিষয়ে কড়া হচ্ছে রাজ্য সরকার। তাঁদের ফুড লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। হাইজিন মেনে খাবার তৈরি না হলে মোটা টাকা জরিমানা দিতে হবে। খাবারের গুণগত মানের সঙ্গে কোনও সমঝোতা করা হবে না।
নদীয়া জেলায় ফেব্রুয়ারি মাসের শেষদিকেই ফুড লাইসেন্স দেওয়ার কর্মসূচি হবে। জেলায় প্রায় দেড় লক্ষ স্ট্রিট ফুড হকার রয়েছেন। তাঁদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার প্রস্তুত করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরপরও খাবার তৈরির সময় স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, দু’হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
জেলা খাদ্যসুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক শচীন সুরওয়াডে বলেন, স্ট্রিট ফুড হকারদের ফুড লাইসেন্স করতে হবে। প্রশাসনের তরফে তাঁদের বিনামূল্যেই ফুড লাইসেন্স করিয়ে দেওয়া হবে। খাবার বিক্রি করার সময় তাঁরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, সেবিষয়ে সচেতন করা হবে।
স্থায়ী খাবারের দোকান বা রেস্তরাঁ খোলার জন্য এমনিতেই ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স করাতে হয়। খাবারের গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য মাঝেমধ্যেই এসমস্ত দোকানে অভিযান চালানো হয়। তবে এতদিন রাস্তায় যে সমস্ত হকার খাবার বিক্রি করেন, তাঁদের ফুড লাইসেন্স করার কড়াকড়ি ছিল না। কিন্তু এসমস্ত খাবারের যেমন চাহিদা আছে, তেমনি অনেকসময় হাইজিন না মেনে খাবার তৈরির অভিযোগ ওঠে।
কোথাও দেখা যায়, রাস্তার ধারে ধুলোর মধ্যেই ফল কেটে বিক্রি হচ্ছে। আবার কোথাও হাতে গ্লাভস না পরেই ফুচকার পুর মাখা, ঠেলাগাড়িতে মোমো, চপ রাখার ছবি দেখা যায়। সেই সব খাবার ঢাকা দেওয়া থাকে না। সেই খাবার বহু মানুষ খান। তাতে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা থাকে। এই ব্যবসায়ীদের ফুড লাইসেন্স না থাকায় খাদ্যসুরক্ষা বিভাগেরও ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা হয়।
তাই এবার এই হকারদের ফুড লাইসেন্স করাতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত ফুড হকারদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার তৈরি করতে হবে। শহরের যেখানে সেখানে বসে খাবার বিক্রি, নিম্নমানের ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে খাবার তৈরি, এসবে রাশ টানতে চাইছে সরকার। তাই বিভিন্ন জেলায় বিশেষ মেলা করে ফুড হকারদের বিনামূল্যে এই লাইসেন্স দেওয়া হবে।প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, ফুড লাইসেন্স থাকলে ব্যবসায়ীরাও সচেতন থাকেন। তারপরও কেউ স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করলে তাঁরা সহজে কড়া ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিতে পারবেন।