• 'অজানা রোগে' মৃত্যু শ'য়ে শ'য়ে মুরগির! চিকেনের মৃত্যু নিয়ে অন্ধকারেই ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা...
    ২৪ ঘন্টা | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • পার্থ চৌধুরী: পোলট্রি মুরগির অজানা রোগে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ও আউশগ্রামের মুরগি খামারিরা। কেন মুরগি মারা যাচ্ছে সে কারণ খামারিদের কাছে স্পষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটি কোনও ভাবেই বার্ড ফ্লু' র ঘটনা নয়। নানা কারণে মুরগি মারা যেতে পারে। এই ধোঁয়াশায় মাথায় হাত খামারিদের।

    পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের নতুনগ্রামে গিয়ে দেখা গেল, গ্রামে বেশ কিছু খামারি আছেন। তাঁদের প্রায় সবার খামারেই গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার মুরগি মারা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, ছোট মুরগি থেকে বড় মুরগি-- সব ধরনের মুরগিই আক্রান্ত হচ্ছে। মুরগিগুলির প্রথমে ঝিমুনির মতো হতে দেখা যাচ্ছে। পরে ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে ঝিমোতে থাকা মুরগিগুলি। কোনো চিকিৎসাই কাজে আসছে না।

    এদিকে, জেলায় বেশিরভাগ খামারিই এখন 'কন্ট্রাক্ট ফার্মিং'য়ের মাধ্যমে মুরগি চাষ করেন। সেক্ষেত্রেও তাঁদের নিজেদের খাটুনি, লেবার চার্জ এবং তুষের জন্য বড় অঙ্কের টাকা খরচ হয়। কিন্তু সেই সব খরচই মাঠে মারা যাচ্ছে। এইসব মৃত মুরগি গর্ত করে মাটিতে পুঁতে দিচ্ছেন খামারিরা। যাতে এই মুরগিগুলি থেকে আর কোনো ভাবে কোনও রোগ না ছড়িয়ে পড়ে!

    খামারিরা জানাচ্ছেন, রোগ হলে কোম্পানির লোক আসছেন। কিছু ওষুধ প্রয়োগ করছেন তাঁরা। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই সব ওষুধে তেমন কাজ হচ্ছে না। আর যেসব খামারি ব্যক্তিগতভাবে চাষ করেন তাঁদের তো বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এর ফলে তাঁদের সংসার চালাতে বড় সমস্যা হচ্ছে।

    বিশেষজ্ঞ প্রাণী চিকিৎসক ডা: পার্থ সরকার জানান,  পশ্চিমবঙ্গে এখনও বার্ড ফ্লু'র ঘটনা নথিভুক্ত হয়নি। আবহাওয়ার পরিবর্তন, আলোর কম-বেশি, ঠিক ওষুধ বা পরিচর্যার অভাবেও মুরগি মারা যেতে পারে। ঠিক কী ঘটছে, তা যথাযথভাবে পরীক্ষা না করে এ বিষয়ে এভাবে চট করে কিছু বলা সম্ভব নয়।

    খামারিরাও জানেন না, ঠিক কী রোগ হয়েছে। এদিকে মুরগী বাঁচানো যাচ্ছে না। বিরাট লোকসানের মুখে তারা। এছাড়াও বাজারেও এর প্রভাব পড়তে পারে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)