সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দেড় দশক আগে অশান্ত নন্দীগ্রামে খুন, অপহরণের ঘটনায় যে ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে, তার একাংশকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু শেখ সুফিয়ান, আবু তাহেরদের স্বস্তি দিল না কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্যের সেই আর্জি খারিজ করে বিচারপতিরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। জনস্বার্থের কথা ভেবে অব্যাহতি দেওয়া সম্ভব নয়।
২০০৭ ও ২০০৯ সালে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে অশান্ত হয়ে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। সেখানে আন্দোলন দমনে পরপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। ২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর তৃণমূল নেতাদের নামে থাকা মামলাগুলি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করে রাজ্য। নিম্ন আদালত তা মঞ্জুরও করে। কিন্তু নিম্ন আদালতের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তাতেও অন্যতম পক্ষ ছিল রাজ্য সরকার। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দিয়েছে। ফলে শেখ সুফিয়ান, আবু তাহেরদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে।
এ প্রসঙ্গে উচ্চ আদালতের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির পর্যবেক্ষণ, সমাজকে হিংসামুক্ত করতে খুনের মতো অপরাধে মামলা প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত রাজ্য নিয়েছে, তাতে সমাজে ভুল বার্তা যাবে। মামলা প্রত্যাহার কখনই জনস্বার্থে হতে পারে না। অভিযুক্তদের বিচারের সম্মুখীন হতেই হবে। বিচারপতিদের আরও বক্তব্য, ভোটে হিংসা হোক বা ভোট পরবর্তী হিংসা, গণতন্ত্রের জন্য হিংসা ত্যাগ করা উচিত। যে কোনও ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি কাম্য রাজ্য প্রশাসনের কাছে।