টানা চিকিৎসায় স্মৃতি ফিরে পেয়ে বাংলাদেশে ফিরতে ব্যাকুল তরুণী
বর্তমান | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার হুসেনপুর গ্রামের তাজবাজারের তরুণী আয়েশা আখতার। ১০ বছর আগে উত্তর-পূর্ব ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে কোনওভাবে ভারতে ঢুকে পড়ে। অন্যদেশে এসে দিকভ্রষ্ট হয়ে উদভ্রান্তের মতো ঘুরতে থাকে। উদভ্রান্তের মতো ঘুরতে ঘুরতে এক সময় স্মৃতি লোপ পায় তরুণীর। এই অবস্থায় সাত বছর আগে তরুণীটি মাদারিহাটে চলে আসে। মাদারিহাটে অসহায় ওই তরুণীকে স্থানীয় কিছু মহিলা উদ্ধার করে এথেলবাড়িতে সাজু তালুকদারের হোমে পাঠিয়ে দেয়।
হোমে আর পাঁচ জন আবাসিকের মতো আয়েশারও সেবাযত্ন চলে। শুধু তাই নয় মানসিক চিকিৎসক দিয়ে সাজুবাবু আয়েশার চিকিৎসাও করান। চিকিৎসায় সাড়া দেয় তরুণী। সাজুবাবুর বলেন, তরুনীটি সম্প্রতি তার হারানো স্মৃতি ফিরে পেয়েছে। এখন সে বাংলাদেশে তার বাড়ি, গ্রাম ও বাড়ির লোকজনের নাম বলতে পারছে। এখন সে বাংলাদেশের বাড়িতে ফিরতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছে।
এর ফলে মহা ফাঁপড়ে পড়েছেন সাজুবাবু। উপায় না পেয়ে তিনি জেলা পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছেন। আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিস ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে আয়েশার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছে।
কিন্ত বাঁধ সেঁধেছে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ডামাডোল। ওপার বাংলার রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে জেলা পুলিসও আয়েশাকে তার বাড়িতে পাঠাতে হিমশিম অবস্থায় পড়েছে। পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, বাংলাদেশের ওই তরুণীকে তাঁর বাড়িতে পাঠানোর জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আয়েশা আখতাররা ছয় ভাই তিন বোন। আয়েশার এক ভাই মাসুম ফারুক টেলিফোনে বলেন, আমরা ধরেই নিয়েছিলাম দিদি মারা গিয়েছে। এতদিন পরে দিদির খোঁজ পাব ভাবতেই পারিনি। বাবা তো দিদিকে দেখতে অস্থির হয়ে উঠেছেন। ধন্যবাদ ভারতের পুলিস ও সাজুবাবুকে।