সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: পরপর হামলা ও আক্রমণের ঘটনায় রহস্য বাড়ছে! সম্প্রতি মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। শুক্রবার গভীর রাতে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে ছুরিকাহত হলেন তাঁর গাড়ির চালক। পুরাতন মালদহের বিডিও অফিসের সামনে চালককে পিছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। রাতে তাঁকে প্রথমে মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে মালদহ মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছিল। ওই চালকের কাঁধে সাতটি সেলাই করা হয়েছে। তবে, নার্সিংহোমে চিকিৎসা করানোর জন্য রাতেই চালক বাড়ি চলে যান বলে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম গাড়ি চালকের নাম অনুপ সাহা (৩০)। বাড়ি পুরাতন মালদহের নারায়ণপুর বিডিও অফিসের পিছনে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ঘটনার রাতে অনুপ দূরে একটা বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন। রাতে ফেরার সময় স্থানীয় বিডিও অফিসের কাছে ওই চালক কয়েকজনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। রাতে কেন তারা সেখানে, জানতে চান অনুপ। তখনই অজ্ঞাতপরিচয় অভিযুক্তরা পিছন থেকে আচমকা অনুপের কাঁধে ছুরি দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে দ্রুত পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসেন। পুলিসকেও জানানো হয়।
অনুপ বলেন, রাতে দেখি তিন-চারজন জাতীয় সড়কের পাশে ব্লক অফিসের সামনে ঘোরাঘুরি করছিল। তাদের মুখ ঢাকা ছিল। আমি জিজ্ঞেস করি কী করছিস? তখনই পিছন থেকে বার বার ছুরি দিয়ে আমাকে আঘাত করে। প্রাণ বাঁচাতে রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম। পুলিস ও প্রশাসনকে খবর দেওয়া হলে তাঁরা আমাকে উদ্ধার করেন। আমার সঙ্গে কারও শক্রতা নেই। ঘটনাটি পুলিস তদন্ত করে দেখুক। এমন ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে।