নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: প্রতি বছরের মতো এবারও বিএসএফের সহযোগিতায় কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে মাজারে গিয়ে প্রার্থনা করলেন এপারের সংখ্যালঘুরা। কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিকদের সেখানে ঘেঁষতে দেওয়া হল না। ফলে শনিবার কার্যত ফিকে হয়ে গেল উরস ঘিরে ‘মিলনমেলা’।
রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা পঞ্চায়েতের জুম্মাগছ মাজার শরিফ কমিটি সূত্রে খবর, ৩৬ বছর আগে এলাকার সংখ্যালঘুরা ওই মাজার তৈরি করেন। তখন সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ছিল না। পরবর্তীতে কাঁটাতার হওয়ায় ওই মাজার বেড়ার ওপারে চলে যায়। কিন্তু ফি বছর এসময় এপারের সংখ্যালঘুরা বিএসএফের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কাঁটাতারের ওপারে ওই মাজারে প্রার্থনা করতে যান। রাজগঞ্জ ব্লকের জুম্মাগছ, দিলুগছ, চতুরাগছ সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সংখ্যালঘুরা আসেন ওই মাজারে যাওয়ার জন্য। একইভাবে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার প্রধানপাড়া, ডাঙাপাড়া, ফুটকিপাড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ আসেন সেখানে। সামগ্রিকভাবে ‘মিলনমেলা’র চেহারা নেয়। বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে এবার অবশ্য লোকসংখ্যা অনেক কম ছিল। যদিও এপারের বাসিন্দা মকসুদ আলম, মহম্মদ মুস্তাফা বলেন, সচিত্র পরিচয়পত্র দেখে বিএসএফ এদিন কিছুক্ষণের জন্য কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে মাজারে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। এতেই আমরা খুশি।