স্যালাইন হাতে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেল রোগী, নিরাপত্তায় প্রশ্ন
বর্তমান | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, পতিরাম: বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি ভবন থেকে ফের রোগী পালিয়ে গেল। হাতে স্যালাইন ও ক্যাথিটার নিয়েই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায় রোগী। হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা এবং নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও শনিবার বিকেলে রোগী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। বিষয়টি জানাজানি হতেই হাসপাতালের তরফে খোঁজখবর শুরু হয়। ছুটে আসেন রোগীর পরিবার। পরে অবশ্য ওই রোগীকে তাঁরই এক আত্মীয়র বাড়িতে পাওয়া যায়। রোগীর অভিযোগ, হাসপাতালের আয়ারা তাঁকে দুর্ব্যবহার করেছেন। গায়ে হাত তুলেছেন। কিন্তু কিন্তু কী কারণে এই দুর্ব্যবহার তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ। বলেছেন, আজ ওই রোগীকে ছুটি দেওয়ার কথা ছিল। আয়াদের সঙ্গে কথা বলেছি। দুর্ব্যবহার বা মারধর করা হয়নি। পরে ওই রোগীকে পুলিস নিয়ে এসেছিল। ক্যাথিটার খুলে রোগীকে পরে ছুটি দেওয়া হয়েছে। কীভাবে এত রক্ষীর মাঝে রোগী হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রোগীর নাম মামনি বর্মন (৩৫)। গত শুক্রবার তপনে বাইক থেকে পড়ে গিয়ে আহত হন তিনি। শুক্রবার বিকেলে তাঁকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন আয়া মাসিরা। আয়াদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন রোগী। এরপরই বিকেলে হাতে স্যালাইন, কাথিটার সহ বেরিয়ে পড়েন। রোগীর ভাই দয়াল বর্মন বলেন, আমার দিদি হাসপাতালে ভর্তি ছিল। বিকেলে ফোন করে জানতে পারি আয়ামাসিরা দুর্ব্যবহার করেছেন। তারপর থেকেই দিদির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে হাতে স্যালাইন নিয়েই দুই কিমি হাঁটতে হাঁটতে আমার বাড়ি চলে যায়। হাসপাতলে এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে রোগী বেরিয়ে গেল?