নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নির্বিঘ্নে মিটল মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা। প্রশ্নপত্রে খুশি সিংহভাগ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। রাজ্যের কোনও প্রান্ত থেকে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। তবে এই পর্বেই মাত্র একটি ‘অবাঞ্ছিত’ ঘটনা ঘটেছে। আশাব্যঞ্জক না হওয়ায় উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলল এক ছাত্র। উত্তর দিনাজপুরের বেলান হাইস্কুলের ওই ছাত্রের উত্তরপত্র ‘আরএ’ বা রিপোর্টেড এগেইনস্ট হয়েছে। সূর্যপুর হাইস্কুলে সিট পড়েছিল তার। সেখানকার পরিদর্শকরা তাকে উত্তরপত্র ছিঁড়তে দেখে তা বাজেয়াপ্ত করেন। রিপোর্ট আসে পর্ষদে। সার্বিকভাবে নির্বিঘ্ন পরীক্ষায় এমনই কিছু টুকরো ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে হয়েছে পর্ষদ আধিকারিকদের।
স্রেফ উত্তরপত্র ছেঁড়াই নয়, মোবাইল নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকে পড়ায় ধরা পড়েছে তিন পরীক্ষার্থী। তাদের এ বছরের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। তবে, উল্লেখযোগ্য হল, এই তালিকায় রয়েছে পুরুলিয়া জেলা স্কুলের মতো নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক ছাত্র। তার সিট পড়েছিল নেতাজি বিদ্যাপীঠে। পরীক্ষা বেশ খানিকক্ষণ এগিয়ে যাওয়ার পরে তার কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার হয়। বাকি দু’টি ঘটনা হুগলি এবং দক্ষিণ কলকাতার। হুগলির রিষড়া স্বতন্ত্র হিন্দি বিদ্যালয়ের সিট পড়েছে ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র হাইস্কুলে। সেখানেই এক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। একইভাবে মোবাইল উদ্ধার হয় দক্ষিণ কলকাতার বটতলা হাইস্কুল থেকে। সেখানে সিট পড়েছিল বদরতলা হাইস্কুলের ছাত্রদের। হুগলির ভদ্রেশ্বরের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে সাপ ঢুকে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছিল। অন্যদিকে, অঙ্ক পরীক্ষার দিন ৬৮ জন ছাত্রছাত্রী হাসপাতালের বেড থেকে পরীক্ষা দিয়েছে। এটা বিগত দু’টি পরীক্ষার চেয়ে সংখ্যায় অনেকটাই বেশি।