নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করতে জেলাগুলিকে নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ
বর্তমান | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী জুন মাসের মধ্যেই ‘বাংলার বাড়ি’ (গ্রামীণ) প্রকল্পের ১২ লক্ষ উপভোক্তা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাবেন। বাজেট প্রস্তাবেই একথা জানিয়েছে রাজ্য। তাই প্রথম কিস্তির টাকায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়ি তৈরির কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের সবরকম সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হল জেলা প্রশাসনগুলিকে।
কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ করেই বাংলার ২৮ লক্ষ প্রান্তিক মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে প্রায় ১২ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাস দেড়েক আগেই প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য। খরচ হয়েছে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, এই উপভোক্তাদের মধ্যে অধিকাংশই কাজ শুরু করে দিলেও নানা কারণে এখনও অনেকে তা পারেননি। তাঁদের কাছে পৌঁছে সমস্যা সমাধান করতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। শনিবার দুপুর ১টা থেকে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে প্রতিটি জেলার নোডাল অফিসারের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন পঞ্চায়েত সচিব পি উল্গানাথান সহ দপ্তরের পদস্থ কর্তারা। কোন জেলায় এখনও পর্যন্ত কতজন বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেননি, তার খোঁজখবর নেওয়া হয় সেখানে। প্রথম পর্যায়ের কাজ দ্রুত শেষ না করলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়ার ক্ষেত্রে দেরি হবে। সেই কারণে এলাকায় ঘুরে ঘুরে আরও বেশি নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
এছাড়া, এই উপভোক্তাদের বাড়িতে যাতে একই সঙ্গে শৌচাগার ও পানীয় জলের সংযোগ নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে নোডাল অফিসারদের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে প্রথম কিস্তির টাকা দিতে বাজেটে আরও ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, যাচাইয়ের পর তৈরি করা তালিকায় এমন কিছু উপভোক্তা আছেন, যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এখনও প্রথম কিস্তির টাকা পাঠানো সম্ভব হয়নি। মূলত যাচাই পর্বের পর তাঁদের মৃত্যু হওয়ার কারণেই তা সম্ভব হয়নি। এসব ক্ষেত্রে তাঁদের উত্তরাধিকারীরা যাতে বঞ্চিত না হয়, সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।