• জীবনতলায় কার্তুজ উদ্ধারে স্ক্যানারে বিবাদী বাগের দোকান! খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৫ বছরের স্টক
    প্রতিদিন | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অর্ণব আইচ: জীবনতলায় কার্তুজ উদ্ধারে স্ক্যানারে বিবাদী বাগের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুকের দোকান। ইতিমধ্যে সেই দোকানে অভিযান চালিয়েছে বেঙ্গল এসটিএফ। তদন্তকারীদের সন্দেহ, দোকান থেকে কার্তুজ পাচার করা হয়েছে। সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজতেই দোকান থেকে বেশ কিছু রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শেষ পাঁচ বছরের স্টক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনকী সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় সেই দোকানের মালিককে ডাকা হয়েছে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার ইশ্বরীপুর এলাকায় অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফের বিশেষ টিম। তদন্তকারীরা শুক্রবার রাতে হাজি রশিদ মোল্লার বাড়িতে হানা দেন। বাড়ির ভিতর অভিযান চালাতেই বেরিয়ে পড়ে ওই বিপুল পরিমাণ কার্তুজ। বাড়ির মালিক-সহ আরও তিন ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিরা হলেন হাসনাবাদের বাসিন্দা বছর চল্লিশের আশিক ইকবাল গাজি, পঁয়তাল্লিশ বছরের আবদুল সেলিম গাজি ও শান্তিপুরের জয়ন্ত দত্ত। ধৃত জয়ন্ত দত্ত আবার বিবাদী বাগের লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র বিপণিতে কর্মরত। তদন্তকারীদের সন্দেহ, অর্থের বিনিময়ে ওই বিপণি থেকে অস্ত্র পাচার করত জয়ন্ত। সন্দেহের নিরসন করতে শনিবার ওই বিপণিতে হানা দেয় পুলিশ। অভিযান চালিয়ে রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়। 

    সূত্রের দাবি, বিবাদী বাগ অস্ত্র বিপণি থেকে দুষ্কৃতীদের হাতে পৌঁছে যেত কার্তুজ। দোকানের কর্মচারী জয়ন্ত মারফত আশিক ইকবাল গাজি, হাজি রশিদ মোল্লা, আবদুল সেলিম গাজির মতও মিডলম্যানদের কাছে কার্তুজ বিক্রি হয়েছে। জেরায় জানা গিয়েছে, এই বিপণির কার্তুজ ডেমো হিসেবে ব্যবহার করে বেআইনি অস্ত্র তৈরি হয়। আবার মুঙ্গের ও ভাগলপুর থেকে আনা বেআইনি অস্ত্রেও এই কার্তুজ ব্যবহার হত।

    তবে লাইন্সেসধারী অস্ত্র বিপণি বা উৎপাদক সংস্থা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার নতুন নয়। ইতিপূর্বে ইছাপুরের রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের প্রচুর যন্ত্রাংশ পাচার হত। সামান্য খুঁত থাকলেও ওই যন্ত্রাংশগুলি ফৌজের রাইফেল তৈরিতে ব্যবহার করা যেত না। ফলে তা হাতবদল হয়ে চলে যেত অস্ত্র কারবারিদের কাছে। যারা ওই অংশগুলিকে ঘষে-মেজে বেআইনি অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হত। এক্ষেত্রেও বিবাদী বাদের লাইসেন্সড বিপণি থেকে কার্তুজ পাচার হয়েছে বলেই সন্দেহ। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)